হংকংয়ে যাচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘অবলম্বন’
এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ম ফাইন্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি হংকং-এশিয়া ফিল্ম ফাইন্যান্সিং ফোরাম (হাফ)। এবার ১৭তম হংকং-এশিয়া ফিল্ম ফাইন্যান্সিং ফোরাম (হাফ) এর জন্য নির্বাচিত ২৩টি ছবির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘অবলম্বন’। আবিদ হোসেন খান পরিচালিত সরকারি অনুদানে নির্মিত ছবিটির প্রযোজনা করেছেন রুবাইয়াত হোসেন এবং আদনান ইমতিয়াজ আহমেদ। ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খনা টকিজ।
১৮ থেকে ২০ মার্চ হংকংয়ের কনভেনশন অ্যান্ড এক্সবিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে হংকং-এশিয়া ফিল্ম ফাইন্যান্সিং ফোরাম (হাফ) এর ১৭তম আসর। এই আসরে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশের ছবি ‘অবলম্বন’।
বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে উপজীব্য করে গতবছর আগস্ট মাসের শেষে ছবিটির শুটিং শুরু হয়। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর দ্বারা শুরু হওয়া গণহত্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ২৬ তারিখেই পরিচালক আবিদ হোসেন খান সেখানে চলে যান এবং গবেষণার পাশাপাশি সীমান্ত পার হয়ে আসা কয়েকটি পরিবারকে অনুসরণ করতে থাকেন। এদেরই একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে নির্মিত ‘অবলম্বন’।
রোহিঙ্গা হিসাবে পরিচিত মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলমান নাগরিকদের উপর তাদের সরকার, সামরিক বাহিনী ও বৌদ্ধ চরমপন্থীদের পর্যায়ক্রমিক সহিংসতা ও নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে সম্প্রতি প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ভাগ্যাহত মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং ১৯৭৮ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে আরও প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। তাদের আশা-নিরাশা আর নিজের দেশে নির্যাতিত হওয়ার সংবেদনশীল উপস্থাপনই ‘অবলম্বন’।
নবীন পরিচালক আবিদ হোসেন খান এর আগে খানা টকিজ থেকে ‘সিদ্ধার্থ অনুসৃত ২০টি চলমান দৃশ্য’ নামক একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন যেটি ব্রাজিলের রিও ডি জানেইরো কুর্তা সিনেমা উৎসবে প্রদর্শিত হয়। ‘অবলম্বন’ পরিচালকের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
উল্লেখ্য, এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ম ফাইন্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি হাফ। চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, ব্যাংকার, পরিবেশক এবং ক্রেতাদের সাথে দেখা করার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম এই হাফ। বাংলাদেশ, চীন, হংকং, তাইওয়ান, ইরান, জাপান, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার ১০ দেশের ৩৫০টি ছবির প্রকল্প থেকে এই বছরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পায় ২৩টি ছবি।যার মধ্যে অবলম্বন একটি। ২০১৭ সালে এই ফোরামে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশি নির্মাতা রুয়াইয়াৎ হোসেনের মেড ইন বাংলাদেশ ছবিটি।
এমএবি/এলএ/আরআইপি