এবার জেমসের গান গেয়ে দুই বাংলা কাঁদালেন নোবেল
বাংলাদেশের নোবেল কলকাতার ‘সা রে গা মা পা’ মাতিয়েই চলেছেন। একের পর এক পারফর্ম দিয়ে তিনি চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ গেল সপ্তাহে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
এবার নোবেল বাজিমাত করলেন নগর বাউল খ্যাত রকস্টার জেমসের গান গেয়ে। ১৯ জানুয়ারি রাতে ভারতের জি-বাংলা টেলিভিশনের ‘সা রে গা মা পা’-য় জেমসের তুমুল জনপ্রিয় ‘মা’ গানটি পরিবেশন করেন নোবেল। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক কলকাতার নায়ক যিশু সেনগুপ্তকে উৎসর্গ করে গানটি গাইলেন নোবেল। গানের পাশাপাশি ছিলো রবি ঠাকুরের লেখা ‘মাকে আমার পড়ে না মনে’ কবিতার আবৃত্তি।
গানটি গাইতে গিয়ে রীতিমত ঝড় তুলেছেন তিনি মঞ্চে। আবেগ ভরা গায়কীতে মায়ের জন্য হাহাকার করা সুরে গাইতে গাইতে নোবেল কাঁদলেন, কাঁদালেন সবাইকেব। মঞ্চে দাঁড়িয়ে কাঁদলেন যিশু সেনগুপ্ত, কাদলেন বিচারকরা।
গানটি ভিডিও আকারে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে ‘সা রে গা মা পা’র আইডি থেকে। সেখানে দেখা গেল নোবেলের গান শুনে দুই বাংলার দর্শক-শ্রোতার প্রশংসা। প্রায় দেড় হাজার মন্তব্যের সবগুলোতেই নোবেলের গায়কীর স্তুতিবাক্য।
সাফরিন সোমা নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আজ আমি আমার মায়ের পাশে বসেই গানটি দেখতেছিলাম!!! গানটা শুনতেছিলাম আর অনুভব করতেছিলাম মা এর শূন্যতা কেমন হবে!!! যদিও আমার মা বেচেই আছেন! কিন্তু কেউই চিরদিন বেচে থাকেনা!!! আজ এই গানটি সকল মা হারা মানুষ গুলোর জন্য!!!’ ‘নোবেল তুমি এসেছিলে মঞ্চে শান্ত পায়ে হেটে, নোবেল তুমি গেয়েছিলে গান মন কেড়ে নেয়া কন্ঠে!!!’- এমন লাইনের একটা কবিতাও লিখেছেন তিনি নোবেলের উদ্দেশ্যে।
শরদিন্দ্যু চক্রবর্তী নামে একজন লিখেছেন, ‘আজ গানটি শুনছিলাম মা’র বসার চেয়ারটিতে বসে। মা ছিল না পাশে। মাকে এত বেশি মনে করে দিয়েছে এই গানটি কান্না রাখতে পারি নাই চেপে।’
প্রিয়ান্ত পাল জয় লিখেছেন, ‘চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। কয়েক মিনিট গায়ের লোম দাড়িয়ে গেছে! মা’র কাছে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরলাম। অনেক ভালবাসি মাকে।’
কবিতাটা গানটাকে আরও আবেগময় করে দিল।গানটা নোবেল যিশুর উদ্দেশ্যে গাইলেও এ গান সকল মা হারা সন্তান্দের জন্যেই। যেমন রবি ঠাকুরের কবিতা তেমনি জেমসের গান।
এমনি আবেগঘন স্ট্যাটাসে ভেসে যাচ্ছে নোবেলের গানের ভিডিওর পোস্ট।
প্রসঙ্গ, বাংলাদেশের গায়ক মাহফুজ আনাম জেমস ওপার বাংলাতেও তুমুল জনপ্রিয়। তার ‘মা’ গানটিও খুব জনপ্রিয় সেখানে।
এলএ/পিআর