মৌসুমীর রাজনীতি নিয়ে ট্রল, বিরক্ত গায়ক মাকসুদ
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। হঠাৎ করেই রাজনীতির মাঠে নেমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিনি। তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।
তবে সমালোচনাও হচ্ছে প্রিয়দর্শিনী আওয়ামী লীগে মনোনয়ন চাওয়ায়। ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। সেখানে ‘বাংলাদেশ উৎসব’ নামের একটি অনুষ্ঠানে তারেক জিয়ার পাশে দেখা যাচ্ছে ঢাকাই সিনেমার নন্দিত দুই মুখ ববিতা ও মৌসুমীকে।
এই ছবিটি পোস্ট করে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কাছের মানুষ হয়েও আওয়ামী লীগে মনোনয়ন কিনলেন কেন মৌসুমী? অনেকে বলছেন বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জাসাস’র সদস্য মৌসুমী কেন আওয়ামী লীগে এলেন?
তবে মৌসুমী বিএনপির কর্মী ছিলেন বা বিএনপির রাজনীতি করতেন কিংবা জাসাসের সঙ্গে ছিলেন এমন কোনো নথিপত্র কোথাও পাওয়া যায়নি। মৌসুমী নিজেও সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, তিনি পূর্বে কখনোই কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিই তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনতে সাহসী করেছে। তিনি মানুষের সেবার জন্য প্লাটফর্ম হিসেবে শেখ হাসিনার ছায়াকেই প্রত্যাশা করছেন।
এদিকে গতকাল থেকে নতুন আরেকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। সেখানে মৌসুমীকে ট্রল করা হয়েছে ব্যান্ডদল ফিডব্যাকের ‘মৌসুমী’ শিরোনামের গানের একটি লাইন দিয়ে, যে গানটি মাকসুদুল হকের কণ্ঠে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো নব্বই দশকে।
ছবিটিতে উপরের বাম পাশে রয়েছে তারেক জিয়ার সাথে মৌসুমীর ছবিটি। ডান পাশে আছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনছেন তিনি। আর নিচে গান গাওয়ায় মত্ত মাকসুদের একটি ছবি। ক্যাপশন হিসেবে লেখা আছে ‘মৌসুমী, কারে ভালোবাসো তুমি....?’
এই ছবিটি দিয়ে মৌসুমীর রাজনীতিতে আসা নিয়ে হাসি ঠাট্টায় মজেছেন ফেসবুকবাসীরা। তবে এই ট্রল দেখে বিরক্ত ও বিব্রত বর্তমানে ‘মাকসুদ ও ঢাকা ব্যান্ড’র প্রধান মাকসুদুল হক। ‘মৌসুমী’ গানের গায়ক মাকসুদ হক।
তিনি শনিবার দুপুরে নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমার একটা গানের শিরোনাম নিয়ে এক অভিনয় শিল্পীর ট্রল চলছে। রসিকতার অর্থ যদি হয় নারীর অসম্মান তা অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচয় বহন করে। একজন নারী সর্বসমক্ষে অসম্মানিত হলে আমার অন্তত হাসি পায় না।’
এলএ/এমএস