চাঁদপুরে মহিলা আওয়ামী লীগ কর্মীকে গলা কেটে হত্যা
চাঁদপুর শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে কোহিনুর বেগম নামে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের এক সক্রিয় কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সন্ধ্যার পর কোহিনুরকে তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় ওই এলাকার ভূঁইয়াবাড়ির নয়ন বেগম। পরে আরো কয়েকজনের সহযোগিতায় কোহিনুরকে হত্যা করে তারা পালিয়ে যায় বলে এলাকাবাসী জানান।
তবে হত্যা কারণ জানা যায়নি। কোহিনুরের স্বামী আবদুল মান্নান খান তিন দিন আগে সৌদি আরব থেকে এসেছেন। ঘটনার পর শত শত এলাকাবাসী বাড়িতে ভিড় জমায়। তবে আতঙ্কে কেউ মুখ খুলতে রাজি হয়নি। এ ঘটনা জানাজানি হলে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশ্রাফুজ্জামান ঘটনাস্থলে যান। এছাড়া চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং নয়ন বেগমের বড় মেয়ে তিশাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা যায়, প্রতিদিনের মতো কোহিনুর বেগম তার সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে বাসায় সময় কাটাচ্ছিলেন। হঠাৎ নয়ন বেগম এসে কোহিনুর বেগমকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে খবর পাওয়া যায় কোহিনুর বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। তার মরদেহ নয়ন বেগমের বাসার খাটের নিচে পড়ে আছে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার থানায় নিয়ে যায়।
এলাকার পৌর কাউন্সিলর ডিএম শাহ্জাহান জাগো নিউজকে জানান, নয়ন বেগমের সঙ্গে কোহিনুর বেগমের আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক রয়েছে। নয়ন সুদের ব্যবসা করতেন এবং সে একজন খারাপ প্রকৃতির নারী। লেনদেনের ঘটনা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
নয়ন বেগমের ছোট মেয়ে তন্নি জাগো নিউজকে জানান, ঘটনার সময় তারা দু`বোন পাশের বাড়িতে টেলিভিশন দেখছিল। চিৎকার শুনে তাদের ঘরে গিয়ে দেখে দরজা বন্ধ। কিছুক্ষণ পর আবার দেখি দরজা খোলা। তবে তার মা নয়ন বেগম নেই কোহিনুর বেগমের লাশ পড়ে আছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশ্রাফুজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, নয়ন বেগমের বাসায় মরদেহ পাওয়া গেছে। সে পলাতক। তাকে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
ইকরাম চৌধুরী/বিএ