পাকিস্তান দিয়ে অভিনয়ে ফিরলেন ‘আম্মাজান’খ্যাত শবনম

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

নন্দিত পরিচালক কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমা দিয়ে সারাবাংলা কাঁপিয়েছিলেন কিংবদন্তী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শবনম। সেখানে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। তারপর কেটে যাচ্ছে প্রায় দুই দশক। আর সিনেমায় দেখে মিলেনি তার।

নতুন খবর হলো আবারও অভিনয়ে ফিরলেন এই অভিনেত্রী। তবে সিনেমা নয়। পাকিস্তানে নির্মিত একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন শবনম। পাকিস্তান শবনমের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল। সেখানে অসংখ্য চলচ্চিত্রে কাজ করে তিনি অর্জন করেছেন খ্যাতি ও সম্মান।

সেই পুরনো কর্মস্থলে অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে শবনম জানান, চলতি বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানে একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। বারবার করা অনুরোধ ফেরাতে পারেননি শবনম। তাকে সম্মান করেই খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে রাখতে চেয়েছেন ওই ধারাবাহিকের পরিচালক।

তাই তিনিও কাজটি করতে রাজি হলেন। চলতি বছরই এই ধারাবাহিকের শুটিং করেছেন শবনম। পাকিস্তানে বেশ কয়েক পর্বের শুটিং শেষে গেলো মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিনি ঢাকায় ফিরেছেন।

শবনম জানান, তার অভিনয়ে ফেরা ধারাবাহিকটির নাম ‘মোহিনী ম্যানসন কী সিনড্রেলা’। এর পরিচালক আলী তাহের। ধারাবাহিকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে শবনমই অভিনয় করছেন। গেলো ৩ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানের একটি প্রাইভেট চ্যানেলে এর প্রচারও শুরু হয়েছে। চ্যানেলে প্রচারের পর ইউটিউবেও দেখা যাচ্ছে নাটকের পর্বগুলো।

প্রসঙ্গত, ১৯৬১ সালে বাংলা চলচ্চিত্র ‘হারানো দিন’র মাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন শবনম। ১৯৬২ সালে উর্দু চলচ্চিত্র ‘চান্দা’ ছবির মাধ্যমে তৎকালীন সমগ্র পাকিস্তানে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান। এ দুটি ছবিই তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ঢাকা থেকে মুক্তি পেয়েছিল।

চার দশকেরও বেশি সময় আগে পাকিস্তানের নন্দিত নায়ক নাদিমের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে ‘আয়না’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন শবনম। নজরুল ইসলাম নির্দেশিত এটি পাকিস্তানের সেরা ব্যবসা সফল সিনেমা।

এই সিনেমায় অভিনয় করে শবনম পাকিস্তানি চলচ্চিত্রের স্বীকৃতি ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন। শবনম সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পাকিস্তান চলচ্চিত্রের সম্মানসূচক নিগার পুরস্কার পেয়েছেন ১১ বার। সহ অভিনেত্রী হিসেবে পেয়েছেন ১ বার। আর তিনবার পাকিস্তানের জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন।

ষাট-সত্তর দশকে শবনম-ওয়াহিদ মুরাদ, শবনম-নাদিম জুটি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। পরবর্তীকালে পাকিস্তানে বসবাস করে পাঞ্জাবী চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। আর ঢাকাতে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন রহমান ও নায়করাজ রাজ্জাকের বিপরীতে।

শবনম ছিলেন তার সময়কার নারীদের কাছে স্টাইল আইকন। তিনি লাক্স সুন্দরী হিসেবে পাকিস্তানে লাক্সের শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন।

এলএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।