কিডনি চোর ডাক্তারের ফাঁসির দাবিতে মাঠে নেমেছে চলচ্চিত্র পরিবার

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৮

চিকিৎসাসেবা সংশ্লিষ্টদের ভুল কিংবা খামখেয়ালিপনা রোগীর মৃত্যু এখন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ভুল চিকিৎসা একটি পরিবারের সবকিছু ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। চিকিৎসকদের কারো কারো অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কাছে সাধারণ মানুষ আজ অসহায়। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনায় মারা গেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক রফিক শিকদার এবং ফটোগ্রাফার শফিক আহসানের মা রওশন আরা।

রফিক শিকদারের দাবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বাম কিডনির অপারেশন করাতে গেলে ডা. দুলাল তার মায়ের দুটো কিডনিই কেটে রেখে দেন। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে অন্য হাসপাতালে নিয়ে সিটি স্ক্যান করার পর কিডনি চুরির এই রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। ৩১ অক্টোবর রাতে মৃত্যুবরণ করেন দুটো কিডনি হারানো মা।

আজ রোববার এই ডাক্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য মাঠে নামে চলচ্চিত্র পরিবার। শনিবার সকাল ১১টার পরে প্রেস ক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করেছেন তারা। এই মানব বন্ধন থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, কিডনি চুরি এবং এই অপমৃত্যুর ব্যাপারে দ্রুত গ্রহণযোগ্য কোনও ব্যবস্থা নেয়া না হলে পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে। মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাই সিনেমা অঙ্গণের মানুষরা।

পরিচালকের অভিযোগ চিকিৎসকের অবহেলার কারণে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর পর ফেসবুকে রফিক শিকদার লিখেছেন, পাষাণ ডাক্তারের নির্মমতার কাছে জীবন যুদ্ধে হেরে গেছেন আমার মা। আমাদের ছয় ভাই বোনকে বিচারহীনতার নরকে ফেলে রেখে অভিমানে এইমাত্র ওপারে চলে গেলেন আমার মা।

দীর্ঘদিন ধরেই রফিক শিকদার অভিযোগ করে আসছিলেন তার মায়ের কিডনি চুরি করেছেন ডাক্তার। সম্প্রতি পরিচালক সমিতির আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে, ভুল চিকিৎসায় নিজের মায়ের দুই কিডনি হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেন রওশন আরার ছেলে রফিক শিকদার।

‘ভোলা তো যায় না তারে’ ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক রফিক শিকদারের। এই নির্মাতা ‘হৃদয় জুড়ে’ নামে আরও একটি ছবির কাজ শেষ করেছেন। এছাড়া ‘ওপারে চন্দ্রাবতী’ নামে ছবির শুটিং শুরু করার কথা ছিল এ বছরই।

এমএবি/এলএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।