কেবল ঘুষ ও দুর্নীতির মামলা তদন্ত করবে দুদক
কেবল ঘুষ ও দুর্নীতির মামলাগুলোর তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর প্রতারণা ও জালিয়াতির বেসরকারি মামলাগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনের ধারা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থ পাচার অপরাধের অন্য সব অপরাধের তদন্ত করবে সরকারের অন্য সংস্থাগুলো। এমনই বিধান রেখে চূড়ান্ত করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৫।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা।
তিনি বলেন, অর্থ পাচার আইনের ঘুষ ও দুর্নীতি ছাড়া বাকি ২৭টি আইনের তদন্তবার সরকারের অন্য সংস্থাগুলোর। যা এতদিন কেবল দুদকের ওপর নেস্ত ছিল। যা অবাস্তব ছিল। তাই দুদক আইনটি সংশোধনের সুপারিশ করেছিল। সেভাবে এটির সংশোধনী আনা হয়েছে।
নতুন এই আইনের ফলে সরকারি সম্পত্তি এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জালিয়াতি ও প্রতারণা সংক্রান্ত মামলাগুলো দুদক আইনে তদন্ত ও বিচার হবে।
তিনি আরো বলেন, দুদক আইনে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলাগুলো অন্তর্ভুক্ত করায় দুই ধরনের বাস্তব সমস্যার সৃষ্টি হয়। হাজার হাজার প্রতারণা মামলা দুদক আইনে দায়ের হওয়ায় সেগুলোর নিষ্পত্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া দুদক আইনে জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলা অন্তর্ভুক্ত থাকায় পুলিশ এ ধরনের মামলা নিতে অনীহা প্রকাশ করে। এতে এ ধরনের মামলার স্তূপ জমে যায়, বিচার নিষ্পত্তিতে বেশ বিলম্ব ঘটে।
সচিব জানান, দুদক আইনে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর বিচার বিশেষ জজ আদালতে হওয়ায় এগুলো নিষ্পত্তিতে বেশ সময় লাগছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইন ও বিচার বিভাগ বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করে। এরপর আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এসএ/আরএস/আরআইপি