মুকুটহীন নবাব আনোয়ার হোসেনের জন্মদিন আজ

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে মুকুটহীন নবাব খ্যাত অভিনেতা আনোয়ার হোসেন। বাংলার শেষ স্বাধীন শাসক নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা সিনেমায় অভিনয় করে তিনি এই উপাধি পান। ১৯৫৮ সালে ‘তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ৫২ বছরের অভিনয় জীবনে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

আজ তার জন্মদিন। ১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্মদিনে এই কিংবদন্তির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামের সন্তান আনোয়ার হোসেন। তার পিতার নাম নজির হোসেন ও মায়ের নাম সাঈদা খাতুন। নজির-সাঈদা দম্পতির তৃতীয় সন্তান আনোয়ার হোসেন। তার ছোটবেলা কেটেছে সরুলিয়াতেই। জামালপুরে শুরু হয় তার স্কুলজীবন।

১৯৫১ সালে তিনি জামালপুর স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরবর্তীতে ভর্তি হন ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে। স্কুলজীবনে প্রথম অভিনয় করেন আসকার ইবনে সাইকের পদক্ষেপ নাটকে। ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং নাসিমা খানমকে বিয়ে করেন।

পরিচালক মহিউদ্দিনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুবাদে ১৯৫৭ সালে প্রথম অভিনয় করেন ‘তোমার আমার’ (১৯৫৭) ছবিতে। এরপর একের পর এক পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

আনোয়ার হোসেন অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কাঁচের দেয়াল (১৯৬৩), বন্ধন (১৯৬৪), জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০), নবাব সিরাজউদ্দৌলাহ (১৯৭০), রংবাজ (১৯৭৩), ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৩), রূপালী সৈকতে (১৯৭৭), নয়নমণি (১৯৭৭), নাগর দোলা (১৯৭৮), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), সূর্য সংগ্রাম (১৯৭৯,) সূর্যস্নান, লাঠিয়াল, জোয়ার এলো, নাচঘর, দুই দিগন্ত, বন্ধন, পালঙ্ক, অপরাজেয়, পরশমণি, শহীদ তিতুমীর, ঈশা খাঁ, অরুণ বরুণ কিরণমালা প্রভৃতি।

নায়ক হিসেবে আনোয়ার হোসেনের শেষ ছবি ছিল ‘সূর্য সংগ্রাম’। ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পান তিনি। ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ৮২ বছর বয়সে আনোয়ার হোসেন পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান অন্যভুবনে। তাকে রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এলএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।