নায়িকা একটি উপাধি মাত্র : অধরা খান

মাসুম আওয়াল
মাসুম আওয়াল মাসুম আওয়াল , স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৫:১৬ পিএম, ০২ নভেম্বর ২০১৮

‘নায়ক’ ছবির মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় নতুন নায়িকা অধরা খানের। এ ছবিতে তার নায়ক ছিলেন বাপ্পি চৌধুরী। অন্যদিকে ২৬ অক্টোবর মুক্তি পায় তার দ্বিতীয় ছবি ‘মাতাল’। এখানে তিনি সাইমন সাদিকের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। পরপর দুই সপ্তাহে দুটি ছবি দিয়ে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নাম এখন অধরা। বৃহস্পতিবার এই দুই ছবি নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন অধরা খান। তুলে ধরা হলো আলাপের চুম্বক অংশ।

জাগো নিউজ : জনপ্রিয় দুই নায়কের বিপরীতে দুই ছবির নায়িকা হয়ে সিনেমায় পথচলা শুরু হলো। হলে হলে ঘুরে সিনেমা দেখছেন। নায়িকা হিসেবে দর্শক আপনাকে কতটা গ্রহণ করছে বলে মনে হচ্ছে?
অধরা খান : আসলে দর্শকের গ্রহণ করার ব্যাপারটি এখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। তবে যতোগুলো সিনেমা হলে দর্শকের সঙ্গে সিনেমা দেখেছি তাদের সাড়া দেখে মুগ্ধ হয়েছি। সিনেমা দেখে দর্শকের চিৎকার, হাততালি সিটি বাজানো উপভোগ করেছি, অভিভূত হয়েছি।

জাগো নিউজ : দুটো ছবি দেখে কাছের মানুষদের কাছে যে কমেন্ট শুনতে হয়েছে বারবার?
অধরা খান : দুটি দুই ধরনের সিনেমা। ‘নায়ক’ ছবিটি সামাজিক ছবি বলতে যা বোঝায় তাই। অন্যদিকে ‘মাতাল’ ছবি ফুল কমার্শিয়াল। দুইটা ছবিই অনেক সুন্দর। আমি একই সময়ে দুই ধরনের দুটি গল্পে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি। ‘নায়ক’ দিয়ে মানুষ আমাকে চিনেছে। পরে যখন মানুষ জেনেছে ‘মাতাল’ ছবির নায়িকাও একই। আগের ছবিটিতে যারা আমার অভিনয় পছন্দ করেছেন তারা অনেকেই এই ছবিটি দেখেছেন। স্যোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে তাদের ভালো লাগার কথা প্রকাশ করেছেন। পরিচিত জনরা অনেকেই ফোন করে আমাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। সবাই বলছেন আমি সৌভাগ্যবান।

জাগো নিউজ : গত সপ্তাহে দেশজুড়ে ‘মাতাল’ সিনেমাটি চলেছে। এই সিনেমায় একজন নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একটি সাধারণ মেয়ের নায়িকা হওয়ার স্বপ্নপূরণের গল্পে পাওয়া গেছে আপনাকে। বাস্তবের নায়িকা অধরার সঙ্গে তার কতটা মিল?
অধরা খান : কিছু মনে হয় মিলেই গেছে। নায়িকা হওয়ার ইচ্ছের ব্যাপারটা মিলেই যাচ্ছে। ২০১৪ সালে নায়িকা হওয়ার ইচ্ছেটা মাথায় আসে। আমার বোন নাচ শিখতো। বোনের দেখাদেখি আমিও নাচ শিখতে শুরু করলাম। নাচ শিখতে শিখতে অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়। আমাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন আমার নাচের শিক্ষক। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই স্বপ্নটা পূর্ণ হয়ে গেল। তবে সিনেমার চরিত্রে অনেল সংগ্রাম করতে হয়।

জাগো নিউজ : সবেমাত্র দুটি ছবি মুক্তি পেল। দর্শকের রেসপন্স পেয়েছেন। আপনার কাছে দর্শকের প্রত্যাশাও বেড়েছে। সামনে হয় তো আরও বড় কোনো চ্যালেঞ্জ আসবে। নিজেকে প্রস্তুত করছেন কীভাবে?
অধরা খান : ছবি মুক্তির আগে ভাবতাম ছবি কবে মুক্তি পাবে? দু'জন বড় মাপের নির্মাতার দুইটি ছবি পর পর মুক্তি পাওয়ার পরে আসলেই চ্যালেঞ্জ বেড়ে গেছে। এখন টেনশন বেড়ে গেছে। ভেবেচিন্তে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। অনেকে ছবি দেখে ভালো বলছেন। অনেকে ভুলগুলো ধরিয়ে দিচ্ছেন। এসব শুনে নিজেকে আরও ভালোভাবে তৈরি করার চেষ্টা করছি। শেখার আসলে শেষ নেই, প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখছি। বুঝতে পারছি আমাকে নিজের ব্যাপারে আরও অনেক যত্নশীল হতে হবে। এখন থেকে আমার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল।

জাগো নিউজ : নায়িকা ও অভিনেত্রীর মধ্যে কী পার্থক্য আছে বলে মনে করেন?
অধরা খান : প্রত্যেকটি মানুষই তার জায়গা থেকে নায়ক অথবা নায়িকা। আমার কাছে মনে হয় সিনেমার গল্পে যে চরিত্রগুলোর উপর বেশি ফোকাস হয় তাদের হয়তো দর্শক নায়ক ও নায়িকা বলে থাকেন। আমি মনে করি অভিনেতা ও অভিনেত্রী হয়ে ওঠাটাই বড় বিষয়। নায়িকা একটি উপাধি মাত্র।

জাগো নিউজ : এরমধ্যে আরও একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হলেন। এই ছবিটি নিয়ে একটু বলবেন?
অধরা খান : আমি সব শেষ চুক্তিবদ্ধ হয়েছি ইস্পাহানি আরিফ জাহানের ‘ড্রিমগার্ল’ সিনেমায়। এরপর আর কোনো সিনেমায় লিখিত চুক্তি হয়নি। তবে শাহীন সুমন ভাইয়ের ‘বখাটে’ নামে একটি ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে মৌখিক কথা হয়েছে। আরও কিছু ছবির ব্যাপারে কথা হচ্ছে। চূড়ান্ত হলেই জানাবো।

জাগো নিউজ : সামনে মুক্তির অপেক্ষায় কী আছে?
অধরা খান : সামনে মুক্তির অপেক্ষায় আছে আমার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’। অনেক আগেই এর কাজ শেষ হয়েছে। এই ছবির মুক্তির অপেক্ষায় আছি। আর অপেক্ষায় আছি ‘ড্রিমগার্ল’ ছবির শুটিং শুরুর।

জাগো নিউজ : জাগো নিউজকে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
অধরা খান : আপনাকে ও জাগো নিউজকেও অনেক ধন্যবাদ।

এমএবি/এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।