তিন কালের প্রতিশোধ নিয়ে ঋতুপর্ণার তিনাঙ্ক


প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০১৫

কলকাতার নবাগত পরিচালক বিথিন দাস। তিনটি ভিন্ন সময়ের গল্প নিয়ে তিনি নির্মাণ করেছেন ‘তিনাঙ্ক’ নামের চলচ্চিত্র। এখানে পাওয়া যাবে ১৫০ বছরের পুরোনো কাহিনী।

ছবির চরিত্রে দেখা যাবে কাদম্বি, নলিনী ও সোহিনীদের। যার মধ্যে কাদম্বির চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ভিন্ন ধারার গল্প ও বৈচিত্রময় চরিত্রের এই ছবিটি নিয়ে বেশ উত্তেজিত ঋতু।

ছবিতে নলিনীর চরিত্রে বিদিতা ও সোহিনীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে মুমতাজকে।

ছবির প্রথম অঙ্কে রয়েছে কাদম্বির গল্প। সেটি প্রায় ১৮৭০ সালের নবদ্বীপের ঘটনা। ওই দ্বীপের মেয়ে অপরূপ সুন্দরী কাদম্বির প্রেমে পড়েন কলকাতা থেকে গবেষণার কাজে আসা তরুণ অধ্যাপক মৃণাল। বিয়ের পর কলকাতার কলকাতার পরিবেশে এসে পড়ে কাদম্বি।

স্বামীর সূত্রে মেলামেশা করতে হয় সমাজের উঁচুতলার মানুষদের সঙ্গে যার সঙ্গে একেবারেই অপরিচিত কাদম্বি। ব্রাহ্ম সমাজে বিশ্বাসী মৃণালের উৎসাহে পড়াশোনা শেখেন কাদম্বি। কিন্তু, তাদের সম্পর্ক পূর্ণতা পায় না বিছানায়।

স্বামীর অক্ষমতার কারণে মানসিক যন্ত্রণায় ভোগে কাদম্বি। ১৮৮৮ সালের প্লেগ কেড়ে নেয় মৃণালের প্রাণ। গ্রামে ফিরে যায় বিধবা কাদম্বি। ২০ বছরের কাদম্বি বদলে গেলেও বদলায়নি নবদ্বীপ। শিক্ষিত বিধবা কাদম্বিকে তাই মারা যেতে হয় ডাইনি অপবাদ নিয়ে। তবে মৃত্যুর আগে বট গাছের কাছে ফিরে আসার অঙ্গীকার করে সে।

দ্বিতীয় অঙ্ক বলবে নলিনীর গল্প। সাল ১৯৬৫। এক বৃষ্টির রাতে একা বাড়ি ফিরছিল জেলে হরণের সুন্দরী বউ নলিনী। হঠাৎই ঋতুস্রাব শুরু হয় তার। নলিনী আশ্রয় নেয় এক বটগাছের তলায়। অতিপ্রাকৃতিক পরিবেশে হঠাৎই জেগে ওঠে তার শরীর। পরিবেশের সঙ্গে মিলনোন্মুখ হয়ে ওঠে সে।

এদিকে নলিনীকে খুঁজতে বেরোয় হরণ। বট গাছের তলায় অজ্ঞান অবস্থায় আবিষ্কার করে তাকে। এরপর থেকেই কাদম্বির জীবনে বাঁচতে শুরু করে নলিনী। গ্রামের ওপর প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হয়ে ওঠে সে। গ্রামের পুরোহিত গিরিরাজ ও হরণের চেষ্টায় অবশেষে কাদম্বির আত্মা থেকে মুক্তি পায় নলিনী। তবে মরে না কাদম্বির আত্মার প্রতিশোধ স্পৃহা।

তৃতীয় অঙ্ক বলবে সোহিনীর গল্প। সাল ২০১৪। বিদেশে বড় হওয়া আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সোহিনী কলকাতায় আসে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মহিলাদের নিয়ে গবেষণার কাজে। সব দেশেই মহিলাদের দমিয়ে রাখার গল্পটা যে একই তা উপলব্ধি করে সে।

সহকর্মী অরুণের গ্রামের বাড়ি নবদ্বীপে গিয়ে দেখা হয় পুরোহিত উদয়রাজের সঙ্গে। উদয়রাজ তার হাতে তুলে দেন কাদম্বির ডায়রি। তারপর শুরু হয় নতুন এক কাহিনী।

এলএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।