‘প্রাণ লেয়ার দ্য মায়েস্ট্রো’ ওরা তিনজন
গত ৫ মার্চ ‘প্রাণ লেয়ার’ এর ফেসবুক পেজে একটা পোস্ট দেয়া হয়। মুহূর্তেই পোস্টটি প্রচুর কমেন্ট আর লাইকের বন্যায় ভেসে যায়। পোস্টটি ছিল এমন, ‘সঙ্গীতশিল্পী জন কবির আছে তোমার গান শোনার অপেক্ষায়! পাঠিয়ে দাও তোমার গান গাওয়ার ভিডিও এবং চান্স পাও জন কবিরের সাথে গ্রুমিং সেশনে অংশগ্রহণ করার! আর মাত্র ২৫ দিন বাকি! তো দেরি কিসের? আজই পাঠিয়ে দাও তোমার এন্ট্রি প্রাণ লেয়ার ফেসবুক পেজের ইনবক্সে! ভিডিও পাঠানোর শেষ তারিখ ৩০ মার্চ, ২০১৮!’
সেখানে উল্লেখ করা হয়, মিউজিকের দারুণ প্রতিভা নিয়েও যারা পারছো না সুযোগের অভাবে নিজের প্রতিভাকে মেলে ধরতে, তাদের জন্য প্রাণ লেয়ার নিয়ে এলো ‘প্রাণ লেয়ার দ্য মায়েস্ট্রো’। তোমার গানের ভিডিও করে পাঠিয়ে দাও প্রাণ লেয়ারে ফেসবুক পেজের ইনবক্সে আর তৈরি হও নিজের প্রতিভা ছড়িয়ে দিতে।
প্রাথমিক পর্বে সেরা ১২ জন পাবে সঙ্গীতশিল্পী জন কবিরের সাথে গ্রুমিং সেশনের সুযোগ, যাদের নিয়ে প্রাণ লেয়ার দ্য মায়েস্ট্রো ক্যাম্পেইন কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকের পছন্দমতো একটি করে গান রেকর্ড করবে ও মিউজিক ভিডিও তৈরি করবে এবং তা আপলোড করা হবে প্রাণ লেয়ারের ফেসবুক পেজে। দর্শকদের ভোটে এবং বিচারকদের দেয়া মার্ক থেকে তিনজনকে চূড়ান্ত বিজয়ী নির্বাচিত করা হবে। প্রথম বিজয়ী পাবে ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় বিজয়ী ৩০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় বিজয়ী পাবে ২০ হাজার টাকা। বিজয়ীদের জন্য থাকবে আরও অনেক আকর্ষণীয় পুরস্কার।
এরপরই গান আপলোড করার হিড়িক পড়ে যায় প্রাণ লেয়ারের ফেসবুক পেজে। প্রায় তিন হাজারের বেশি প্রতিযোগী তাদের গান জমা দেন সেখানে। এরপর গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যেমে প্রথমে ৬০ জন পরে ৪০ এবং সব শেষে ১২ জনকে শীর্ষ তালিকায় আনা হয়। এদের মধ্যে ছিলেন টুম্পা খান, আবু শাহরিয়ার মোহাম্মদ, এ কে এম আনুয়ারুজ্জামান, রবিন, সামিরা বিনতে ফাহিয়ান, এ পি শুভ, জিহাদ খান, আনাস আফ্রিদি অর্ণব, এস এম ফজলে রাব্বি, সৌরভ ঘোষ, আনিকা নিশাত এবং সায়মুম। তাদের অপেক্ষা বাড়তে থাকে সেইসঙ্গে বিচারকরাও দীর্ঘ জটিল এই বিচার বিশ্লেষণের কাজ করতে থাকেন।
বুধবার রাতে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। গুলশানের স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে এক জমকালো অনুষ্ঠেনের মাধ্যমে ঘোষণা করা ‘প্রাণ লেয়ার দ্য মায়েস্ট্রো’ তিন বিজয়ীর নাম। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এ কে এম আনুয়ারুজ্জামান, প্রথম রানার আপ হয়েছেন টুম্পা খান আর দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন জিহাদ খান। এই তিন বিজয়ীর হাতে তুলে দেয়া হয় যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার এবং ২০ হাজার টাকার স্মারক চেক। এছাড়া বাকিরাও জিতে নেন বিভিন্ন পুরস্কার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াস মৃধা, প্রাণ লেয়ার দ্য মায়েস্ট্রো প্রোগ্রামের বিচারক সঙ্গীতশিল্পী জন কবির, প্রাণ ডিজিটাল মিডিয়ার প্রধান আজিম হোসেন, প্রাণ কনফেকশনারির প্রধান সাখাওয়াত আহমেদ সাকি প্রমুখ।
‘প্রাণ লেয়ার দ্য মায়েস্ট্রো’ বিজয়ী ঘোষণার পর অনুভূতি জানাতে গিয়ে বিজয়ীরা বলেন, এই প্রোগ্রামের মাধ্যেমে তাদের প্রতিভা বিকাশ ও প্রদর্শনের সুযোগ হয়েছে। অনলাইনে মাধ্যমে এর আগে মনে হয় এমন প্রতিযোগিতা আর কখনও হয়নি। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যেমে অনেকে আজ আমাদের চেনে, আমরাও হয়তোবা এই প্ল্যাটফর্মের কারণে সামনে আরও এগিয়ে যেতে পারবো। এ জন্য প্রাণের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা।
অনুষ্ঠানে প্রাণ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াস মৃধা বলেন, তিন হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে মাত্র ১২ জন, এরপর একদম শেষে এসে তিনজন বিজয়ী হওয়া- এই বিচারকার্যক্রম আসলেই একটি কঠিন কাজ। এই কষ্টকর এবং কঠিন কাজ যারা সার্থক করেছেন আসলেই তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
তিনি বলেন, ব্যবসার দিক থেকে দিন দিন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রাণ। আমরা ব্যবসা করি এর সঙ্গে আমাদের কিছু সামজিক দায়বদ্ধতা আছে। এমন সব দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা নানারকম সামাজিক কাজ করি। তারই একটি প্রাণ লেয়ার দ্য মায়েস্ট্রো। এখানে সব শেষে যে ১২ জন শীর্ষে আছেন তাদের প্রতিভাকে আমরা খুঁজে পেয়েছি। এরা অবশ্যই চেষ্টার মাধ্যমে আগামীতে প্রতিষ্ঠিত হবে। এদের নিয়ে আমরাও আরও প্রোগ্রাম করবো। আগামীতে এমন ধরনের আরও উদ্যোগ নেব আমরা।
এএস/বিএ