সিনেমার গান গাইতে চাই : অবন্তি সিঁথি

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৮

জি বাংলায় সারেগামাপা অনুষ্ঠানের এবারের সিজনে বাংলাদেশ থেকে গিয়ে রীতিমত বাজিমাত করেছেন অবন্তি দেব সিঁথি। নিজের গানের সঙ্গে নিজেই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন দেখিয়ে সবার মন জয় করে নিয়েছেন। কণ্ঠশিল্পী অবন্তি দেব সিঁথির প্রতিভায় এখন মুগ্ধ সবাই। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরেছেন। নিজের ব্যস্ততা, কাজ ও পরিকল্পনা নিয়ে জাগো নিউজের বিনোদন বিভাগে কথা বলেন অবন্তী। তাকে নিয়ে লিখেছেন ইমরুল নূর

জাগো নিউজ : দেশে ফিরলেন কবে? মূল পর্বের শুটিং চলছে না এখন?

অবন্তি : আমাদের মূল পর্বের শুটিং হয়ে গিয়েছে তবে সেটা এখনো প্রচার হয়নি। আমি গত ১৩ অক্টোবর দেশে এসেছি। এদিকে দুর্গা পূজা শুরু হয়েছে আর গত ১৪ অক্টোবর আমার বাবার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো। তাই দেশে আসা। আগামী ১৯ অক্টোবর আবার কলকাতায় ফিরে যাবো।

জাগো নিউজ : জি বাংলার 'সারেগামাপা'তে মূল পর্বে এসেছেন। শুরু থেকেই বাজিমাত করেছেন। কেমন উপভোগ করছেন?

অবন্তি : সত্যি খুবই ভালো লাগছে। সবাই এত এত সাপোর্ট দিচ্ছেন আর শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। সবাই আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন যেন আরও সামনে এগিয়ে যেতে পারি।

জাগো নিউজ : সারেগামাপাতে কিভাবে যুক্ত হলেন?

অবন্তি : গত বছরের জানুয়ারিতে সা-রে-গা-মা-পা-’র একটা পর্বে অতিথি মিউজিশিয়ান হিসেবে গিয়েছিলাম। ২০১৬ সালে কুমার বিশ্বজিতের 'যেখানে সীমান্ত' গানটি কাপ সং করেছিলাম। এরপর গানটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর তারা কাপ গানগুলো দেখেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সা-রে-গা-মা-পা- অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষক রথিজিত ভট্টাচার্য। পরে জি বাংলার এই প্রতিযোগিতায় অতিথি প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলাম। তখন দেখলাম তারা প্রতিযোগীদের কিভাবে গ্রুমিং করে, গাইড করে। সেটা দেখে আমার খুব আগ্রহ জন্মেছিল যে আমি যদি এখানে আসি তাহলে হয়তো অনেক কিছু শিখতে পারবো। তারপরই এ বছর প্রতিযোগী হয়ে অংশ নেই সেখানে।

জাগো নিউজ : গানের সঙ্গে শিস বাজানো এবং কাপ নিয়ে এক ভিন্নরকম উপস্হাপনা আপনার। এগুলো কখন থেকে শুরু এবং কিভাবে?

অবন্তি : আমি ছোটবেলা থেকেই শিস বাজাতাম। একটা সময় সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেলো। আর আমি 'যেখানে সীমান্ত' গানটি কাপ সং করেছিলাম। পরে দেখি গানটা ভাইরাল হয়ে যায়। পরে চিন্তা করলাম এটাই যেহেতু দর্শক গ্রহণ করছে এটা নিয়েই কিছু একটা করি। সেই থেকেই কাপ বা অন্যান্য জিনিস নিয়ে ব্যতিক্রম কিছু করতে চেষ্টা করি। গানের সঙ্গে যদি একটা আলাদা কিছু মিশ্রণ করা যায় তবে বেশ ভালো হবে। এরপর এভাবেই চলতে থাকে। আমি চেয়েছি আমার একটা সিগনেচার থাকুক। প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব স্বকীয়তা আছে। আমিও সেটাই চেয়েছি।

abonti

জাগো নিউজ : গানের নৌকায় চড়ে বসার গল্পটা শুনতে চাই। মানে কীভাবে শুরু হল সঙ্গীতাঙ্গণে পথচলা?

অবন্তি : আমি ছোটবেলা থেকে গ্রামেই বড় হয়েছি জামালপুরে। বড় বোন গান শিখতেন, আমি পাশে বসে থাকতাম তখন। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি আগ্রহ ছিলো। ওস্তাদের তালিম নেওয়া শুরু করি। আমার ওস্তাদ ছিলেন সুশান্ত দেব কানু। এরপর ক্লোজআপ ওয়ানে অংশ নিলাম। এটাই ছিলো আমার প্রথম বড় কোন রিয়েলিটি শো। সেখানে টপ ৯ এ ছিলাম।

জাগো নিউজ : ক্লোজআপ ওয়ান ২০১২ তে ছিলেন। সেই সময়ই পরিচিতি পেয়েছিলেন। পরে তেমন গান প্রকাশ করেননি।

অবন্তি : আমি এখনো কোন গানের অ্যালবাম প্রকাশ করিনি। দুইটা গান প্রকাশ হয়েছে 'তোমার জন্য' ও 'জল কণা' শিরোনামে। দুটোরই মিউজিক ভিডিও পেয়েছেন দর্শক শ্রোতারা। সামনে গান প্রকাশ নিয়ে পরিকল্পনা আছে অনেক।

জাগো নিউজ : কি সেই পরিকল্পনা?

অবন্তি : দুই বছর ধরে আমি আমার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য গান করে যাচ্ছি। সেটা সামনেও করবো। আর প্লে-ব্যাক করার ইচ্ছা আছে, সিনেমায় গান গাইতে চাই। ভালো ভালো গান করে যেতে চাই সামনে।

জাগো নিউজ : আমার শেষের দিকে এসে গেছি। শেষ করার আগে আপনার পারিবার সম্পর্কে জানতে চাই।

অবন্তি : আমার পরিবারে আমার মা আর আমরা তিন বোন। আমার বড় একজন, আরেকজন আমার ছোট। বাবা মারা গিয়েছেন ১৩ বছর হলো। আর আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স করেছি। এরপর একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের লেকচারার ছিলাম। সারাগামাপাতে অংশ নেওয়ার সময় চাকরিটা ছেড়ে দেই।

জাগো নিউজ : জাগো নিউজকে সময় দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

অবন্তি : আপনাকে ও জাগো নিউজ পরিবারকেও ধন্যবাদ।

আইএন/এলএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।