বরিশালের মেয়ে ঐশীর বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চে আসার গল্প

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৬ এএম, ০১ অক্টোবর ২০১৮
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। ছবি- অরণ্য জিয়া

অবশেষে জানা গেল, ২০১৮ সালের মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের নাম। শতশত সুন্দরীকে ছাড়িয়ে স্বপ্নের মুকুট মাথায় পরেছেন বরিশাল বিভাগের পিরোজপুরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী।

ভাগ্য যাকে দুহাত ভরে দিতে চায়, তাকে কাকতালীয়ভাবেই নিয়ে যায় সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। মধ্যবিত্ত পরিবারের ঐশী এইচএসসি শেষ করে জুলাই মাসে ঢাকায় এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করার জন্য। স্বপ্ন, ভালো কোথাও ভর্তি হয়ে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করা। শুরু করেছিলেন আইএলটিএস কোচিংও।

miss                                                   জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী

আত্মীয়ের বাসায় থেকে পড়াশোনা করতেন ঐশী। সাদামাটা একটা জীবন। হঠাৎ-ই শুনলেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮-এর আবেদন চলছে। ছেলেবেলা থেকেই নিজের সৌন্দর্যের জন্য অনেক প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। সেই আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে কৌতূহল মেটাতেই নাম লিখিয়েছিলেন। সময়ের স্রোতে বরিশালের পিরোজপুরের মাটিভাঙা এলাকার সাদামাটা ঐশী এখন বিশ্ব সুন্দরীর আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

ঐশী জাগো নিউজকে জানালেন, 'আমি বাকরুদ্ধ। যারা সেরা দশে ছিলেন সবাই যোগ্য। তাদের মধ্য থেকে সেরা হিসেবে নিজের নাম শুনতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। সবার কাছে দোয়া চাই, যেন মূল প্রতিযোগিতাতেও চমক দেখাতে পারি। এখনও কিছু গ্রুমিং বাকি আছে। এর মধ্যে নিজেকে আরও নিখুঁত করে নেয়ার সুযোগ পাবো আমি।'

আবেগতাড়িত ঐশী আরও বলেন, 'বরিশালের একটি মফস্বলের মেয়ে হিসেবে এই সাফল্য আমার কাছে অনেক বড় স্বপ্নজয়ের। অনেক বড় দায়িত্বও আমার কাঁধে এসেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সৌন্দর্য তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি আমি, এটা ভাবতে ভালো লাগছে। আশা করছি, নিজের দেশের শিল্প, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে মর্যাদার সঙ্গেই বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারবো।'

রোববার সন্ধ্যায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন বসুন্ধরা সিটির রাজদর্শনে অনুষ্ঠিত হয় মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৮'র গ্র‍্যান্ড ফিনালে। সেখানে নানা আয়োজনের মধ্যে ঘোষিত হয় এবারের বিজয়ী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর নাম।

এলএ/জেডএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।