ছোটদের জন্য গান করলেন পার্থ বড়ুয়া
ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় তারকা পার্থ বড়ুয়া। অভিনয় করেও তিনি জয় করেছেন দর্শকের মন। তবে গানই তার মূল পরিচয়, এখানেই ভালোবাসার শেকড়। তাই আজকাল অভিনয়ে নিয়মিত হয়ে গানেই সময় দিচ্ছেন।
সম্প্রতি ছোটদের নিয়ে গান করলেন গায়ক ও সংগীত পরিচালক পার্থ বড়ুয়া। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির উদ্যেগে ১২টি জনপ্রিয় ছড়া গানের তালে তালে তুলে ধরা হয়েছে। ছড়াগানগুলোতে কন্ঠ দিয়েছেন জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রাপ্ত ১২জন শিশুশিল্পী। মজার বিষয় হলো, ছড়া গানগুলোতে আবৃত্তিও রয়েছে। আবৃত্তিতে কন্ঠ দিয়েছেন আবৃত্তি শিল্পী মাহিদুল ইসলাম।
ছড়াগুলো হচ্ছে- শামসুর রহমানের ‘রূপকথা’, হোসনে আরা’র ‘সফদার ডাক্তার’, লুৎফর রহমান রিটনের ব্যাং, ল্যাং, ট্যাং, হাসান হাফিজের নাসিকার গর্জন, কামাল হোসেনের ‘সিফাত ও কাঠবিড়ালি’, আনজীর লিটনের ‘হ্যালো জলপরি’, রোকনুজ্জামান খানের ‘গাধার কান’, নাসিমা বেগমের ‘বায়না’, আমীরুল ইসলামের ‘আমি কথা বলি’, সুকুমার বড়ুয়া’র ‘ঠিক আছে’, ওবায়দুল গনি চন্দনের ‘আলু’ এবং আসলাম সানির ‘ খোকন সোনা’।
ছড়া গান প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন বলেন, আমাদের ছড়াগানগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। পুরনো ছড়া গানগুলো দিয়েই চলছে। অথচ বাংলাদেশে অনেক রিয়েলিটি শো হচ্ছে, কিন্তু শিশুদের জন্য কোনো গান হচ্ছে না। তাই আমরা উদ্যেগ নিয়ে জনপ্রিয় ছড়াগুলোকে গান আকারে প্রকাশ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘৪টি ভলিউম আকারে ছড়াগানগুলো প্রকাশ করা হবে। প্রথমে আমরা ১২াট গান দিয়ে একটি সিডি প্রকাশ করবো। আশা করছি, এই ছড়াগানগুলো শিশুদের মনে অন্যরকম আনন্দ দেবে।’
ছড়াগুলোকে সুর ও সংগীতায়োজন করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন পার্থ বড়ুয়া। ছড়াগান করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে পার্থ বলেন, ‘শিশুদের ছড়া নিয়ে এটাই আমার প্রথম কাজ। ছোটদের নিয়ে কাজ করা অনেক পরিশ্রমের। নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে খুব আনন্দ নিয়েই কাজটি শেষ করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সত্যি বলতে কি শিশুদের জন্য আসলেই নতুন কোনো গান নেই। একারনেই ছড়াগুলোকে গান আকারে তৈরি করেছি। গানগুলো ছোটদের গান শেখার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে।’
১২ জন শিশুশিল্পীর প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন কন্ঠশিল্পী নিশিতা বড়ুয়া ও অপু। এছাড়া ছড়াগানগুলোর সহযোগিতায় ছিলেন আশরাফ বাবু।
আগামী ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক শিশুদিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে ছড়াগানগুলো প্রকাশ করা হবে।
এলএ/জেআইএম