২৩ বছর পর বেদের মেয়ে জোছনাকে দেখবেন রাজকুমার

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৮ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

১৯৮৯ সাল। দেশজুড়ে মুক্তি পেল ‎তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ সিনেমাটি। বাকিটুকু ইতিহাস। ছবিটি তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয় ইলিয়াস কাঞ্চন ও অঞ্জু ঘোষকে। ঢাকাই ছবির ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যবসা সফল ছবির নাম ‘বেদের মেয়ে জোছনা’।

এদেশীয় চলচ্চিত্রে অনেক হিসেব নিকেষই পাল্টে দিয়েছিলো ছবিটি। এর সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এটি রিমেক হয়েছিলো কলকাতাতেও। সেখানেও সফল হয় রাজকুমার ও বেদের মেয়ের প্রেমের দারুণ গল্পের এই সিনেমা। ছবিটি আলোচনার জন্ম দিয়েছিলো তারকাখচিত বলিউডেও।

আর এ ছবির হাত ধরে রাতারাতি জনপ্রিয়তার আকাশ ছুঁয়ে যায় কাঞ্চন-অঞ্জু জুটি। ধারাবাহিকতায় তাদের আরও বেশ কিছু ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে। দুজনের মধ্যে গড়ে উঠেছিলো ভালো বন্ধুত্বও।

এরপর ২৩ বছর মাঝখানে কেটে গেল, দেখা নেই দুজনের। সময় সেই বিরতি এবার কাটাতে চলেছে। ২২ বছর পর অভিমান ভুলে দেশে ফিরেছেন অঞ্জু ঘোষ। আজ রোববার বিকেলে তিনি এফডিসি যাচ্ছেন। সেখানে দেখা করবেন তার পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে। সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে চলচ্চিত্রপাড়ায় আলোচিত হচ্ছে একটি বিষয়, সেটি হলো ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসা সফল সেরা জুটি ইলিয়াস কাঞ্চন ও অঞ্জু ঘোষের কী দেখা হবে আজ? ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ ছবিতে যে রাজকুমার অন্ধ ছিলেন বেদের মেয়ের জন্য সেই রাজকুমার কী আসবেন তার ‘প্রিয়তমা’-কে চোখের দেখতে? নিশ্চয় অনেক মধুর স্মৃতিচারণে মেতে উঠেবে দুই তারকার মিলনপর্ব!

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ইলিয়াস কাঞ্চন রয়েছেন ঢাকাতেই। সুস্থও আছেন তিনি। তাই দেখা হয়ে যেতে পারে ‘বেদের মেয়ের জোছনা’র সঙ্গে। ইলিয়াস কাঞ্চন নিজেও জানালেন আসবেন তিনি। জাগো নিউজকে বললেন, ‘অঞ্জু আমার ক্যারিয়ারের সেরা ছবিটির নায়িকা। আমার কাছে তার জন্য আলাদা সম্মান আছে, ভালো লাগা আছে। সে এসেছে এতদিন পর আমি তাকে দেখতে যাবো। অনেকদিন পর দেখা হবে দুজনের। ভাবতে ভালো লাগছে।’

আপাতত রাজকুমার ও জোছনার মিলন দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় সবাই। বাকিু অনুভূতি বলা যাবে তাদের দেখার পর।

এলএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।