শাশুড়িদের কাছে মিথিলার আহ্বান

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৮

দেশের একজন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত মডেল ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। বিভিন্ন রকম সমাজ সেবা ও সমাজ সচেতনতামূলক কাজেও তিনি জড়িত। কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে নারী অধিকার ও নারী-পুরুষের সমমযার্দা নিয়ে।

মিথিলা বিশ্বাস করেন, নারী-পুরুষের সমমযার্দার অনেকখানি নিশ্চিত করতে পারে শুধু নারীরাই। সেই বিশ্বাসেই তিনি শাশুড়িদের প্রতি একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন সেই চিঠি। এটি বেশ আলোচিত হয়েছে। প্রচুর শেয়ার হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।

চিঠিতে শ্বশুরবাড়িতে একটি মেয়ের নববধূ হিসেবে আগমনের পর তার পৃথিবীটা কেমন করে বদলে যায় সে কথা উল্লেখ করেছেন মিথিলা। তুলে ধরেছেন শ্বশুরবাড়ির পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার পাশাপাশি সবার মন জয়ের জন্য একটি মেয়ের প্রাণপণ চেষ্টার গল্প। সেই ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে নাশতা বানাও, সবার কাপড় পরিষ্কার করো, সন্তানের পড়াশোনার দায়িত্ব নাও- এগুলোই যেন একজন স্ত্রীর জীবনের নিয়তি।

মিথিলা লিখেছেন, শ্বশুরবাড়িতে একজন বউয়ের এসব ঘটনার সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত তিনি। কারণ ৩০ বছর আগে তিনিও একটি পরিবারে একজন নববধূ হিসেবে আগমন করেছিলেন। তিনি জানেন নতুন আসা সেই মেয়েটির চারপাশ কেমন করে বদলে যেতে থাকে। সেই বদলে যাওয়াটা যেন নেতিবাচক না হয় সে জন্য পুত্রবধূদের পাশে দাঁড়াতে শাশুড়িদের আহ্বান করেছেন তিনি।

তার মতে, একজন নারীকে শ্বশুরবাড়িতে যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয় সে সময় শাশুড়ি ও স্বামীকে পাশে পাওয়া খুব প্রয়োজন। পুত্রকে একজন নারীর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদশর্ন করা শেখাতে পারেন মায়েরাই। সেটা হলেই নারী-পুরুষ সমমযার্দার অনেকখানি এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গায়ক-অভিনেতা তাহসানের সঙ্গে ভালোবেসে বাঁধা ঘর ভেঙে গেছে মিথিলার। বর্তমানে তিনি মনযোগী হয়েছেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রতিই। কাজ করছেন নাটক-টেলিছবি ও বিজ্ঞাপনে। তবে গেল ঈদে ছোট পর্দায় তুলনামূলক খুব বেশি উপস্থিতি ছিলো না তার। কাজ করছেন দেখে শুনে, সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে মানেই করেছেন মনোনিবেশ।

এলএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।