তরুণীদের মতোই উচ্ছল ছিলেন রানী : শিমলা
‘অনেক বয়স হয়ে যাওয়ার পরেও তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মনে হত কোনো তরুণীর সঙ্গে বুঝি কথা বলছি। এতটাই উচ্ছল মনের মানুষ ছিলেন রানী সরকার। যেমন ভালো মানুষ ছিলেন, তেমন হাসি খুশি মনের মানুষ ছিলেন।’ রানী সরকারকে নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা শিমলা।
শনিবার ভোর ৪টায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন রানী সরকার। দুপুরে এফডিসিতে নিয়ে আসা হয় তার মরদেহ। এখানে শেষবারের মতো এই গুনি মানুষটিকে দেখতে ও শ্রদ্ধা জানাতে এসে ছিলেন শিমলা। এক ফাঁকে জাগো নিউজের কাছে রানীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন শিমলা।
নেকাব্বরের মহা প্রয়াণ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন রানী সরকার। এই সিনেমাটির নায়িকা ছিলেন শিমলা। তবে এক সঙ্গে কোনো দৃশ্য ছিল না তাদের। তবুও এই মানুষটির সঙ্গে মেশার সুযোগ হয়েছিল বলে জানালেন তিনি।
শিমলা বলেন, ‘আমরা এই সিনেমায় এক সেটে কাজ করিনি। তবে অনেক আগে একটি নাটকে অভিনয় করেছিলাম তার সঙ্গে। উনি সব সময় হাসিমুখে কথা বলতেন। খুব মিশুক আর বড় মনের মানুষ ছিলেন। ছিলেন ভীষণ উচ্ছল। তার উৎফুল্লতা দেখে মনে হয়েছিল উনি একজন তরুণী।’
৮৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বার্ধক্য ছাড়াও পিত্তথলির পাথর, বাতজ্বর, জটিল কোলেলিথিয়েসিস রোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।
রানী ছিলেন ষাট ও সত্তর দশকের খল-অভিনেত্রী। নেতিবাচক চরিত্রে তার উপস্থিতি দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। রানী সরকারের জন্ম সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার সোনাতলা গ্রামে। তার আসল নাম মোসাম্মৎ আমিরুন নেসা খানম। তার বাবার নাম সোলেমান মোল্লা এবং মায়ের নাম আছিয়া খাতুন।
১৯৫৮ সালে রানী সরকারের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় এ জে কারদার পরিচালিত 'দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। ১৯৬২ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশামুর রহমান পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র 'চান্দা'তে অভিনয় করেন।
এমএবি/এলএ/জেআইএম