বোরকা পরে ছবি দেখতে গিয়েছিলাম : শবনম বুবলী

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০২ পিএম, ২০ জুন ২০১৮

গেলো তিন বছর ধরে ঈদে দুটি করে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে ঢাকাই ছবির ব্যস্ত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর। প্রতিটি ছবিতেই তার সহশিল্পী ছিলেন ঢাকাই ছবির শীর্ষনায়ক শাকিব খান। এই ঈদে বুবলী অভিনীত 'সুপার হিরো' ও ‘চিটাগাংইয়া পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। দুটি সিনেমাই প্রেক্ষাগৃহে বেশ ভালো দর্শক পাচ্ছে। গতকাল রাতে সিনেমা দুটি নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন শবনম বুবলী। তাকে নিয়ে লিখেছেন ইমরুল নূর।

জাগো নিউজ : এবারের ঈদ কেমন কাটালেন?
বুবলী : আলহামদুলিল্লাহ্ অনেক ভালো। এবারের ঈদটা পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছি। তবে যেহেতু সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তাই একটু টেনশনে ছিলাম। দুদিন পরিবারের সঙ্গেই ছিলাম। কোথাও যাওয়া হয়নি।

জাগো নিউজ : ঈদে আপনার দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখেছেন?
বুবলী : দুটো সিনেমাই দেখেছি সিনেমা হলে গিয়ে। গতকাল মধুমিতায় ম্যাটিনি শো আর চম্পাকলিতে ইভেনিং শোতে গিয়েছিলাম। প্রেক্ষাগৃহে বোরকা পরে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম। যাতে কেউ আমাকে চিনতে না পারেন। লুকিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেছি। লোকাল হলে ছবি দেখেছি কারণ এতে করে দর্শকদের প্রতিক্রিয়াটা সরাসরি পাওয়া যায়।

জাগো নিউজ : দর্শকদের কেমন প্রতিক্রিয়া দেখলেন?
বুবলী : অনেক ভালো। খুবই ভালো রেসপন্স দেখেছি। একটু পরপর শিস আর করতালি দিচ্ছিল সবাই। অ্যামাজিং রেসপন্স। আমি খুব এনজয় করেছি পুরো সময়টা।

জাগো নিউজ : ঈদে মুক্তি প্রাপ্ত আপনার দুটি সিনেমার মধ্যে কোনটিকে বেশি এগিয়ে রাখবেন?
বুবলী: দুইটা সিনেমা দুই ধরনের। ‘চিটাগাংইয়া পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া’ কমেডি আর ‘সুপার হিরো’ অ্যাকশন, থ্রিলার সিনেমা। আমি দুটি সিনেমার মধ্যে পার্থক্য করতে পারবো না। আমার কাছে দুটোই সমান। এটার রায় দর্শকরা দিবে। দুটোই যেহেতু আমার ছবি তাই আমি মার্কিং করতে চাই না।

জাগো নিউজ : ‘চিটাগাংইয়া পোয়া, নোয়াখাইল্লা মাইয়া’ ছবিতে আপনি নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় ডায়লগ বলেছেন। আপনার দেশের বাড়িও নোয়াখালী। এক্ষেত্রে ভাষাটা কতটুকু সহায়ক ছিল?
বুবলী : হ্যাঁ! কিন্তু আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী হলেও আমি এ ভাষায় কখনো কথা বলিনি। আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে আমি অভ্যস্ত ছিলাম না। সিনেমাটির জন্য আমাকে অনেকদিন ভাষাটি রপ্ত করতে হয়েছে। বিষয়টি আমি বেশ উপভোগ করেছি।

জাগো নিউজ : ছবি দুটির জন্য এখন পর্যন্ত দর্শকদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
বুবলী : ঈদের দিন থেকেই খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। মজার ব্যাপার হলো, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে দুটি ছবির জন্যই সমান তালে ভালো সাড়া পাচ্ছি। সবগুলো হলেই প্রায় হাউসফুল শো যাচ্ছে। দর্শকদের অনেকেই সেই হাউসফুল হলগুলোর ছবি সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করছেন। আবার অনেকে হলের সেল রিপোর্ট জানিয়ে আমাকে ফোন দিচ্ছেন। সবকিছু মিলিয়ে খুব ভালো লাগছে আমার। এখন তো মাত্র ক'টা দিন গেলো, ইনশাহআল্লাহ্ এর মধ্যে দর্শকদের আরও রেসপন্স বাড়বে বলে আশা করছি।

জাগো নিউজ : আপনার ছবিগুলো বিশেষ করে ঈদেই মুক্তি পেতে দেখা যায়। এর বিশেষ কোন কারণ আছে কি?
বুবলী : হা হা হা। না তেমন কিছু না। আসলে যখন সিনেমায় কাজ করি তখন তো এটা মাথায় থাকে না যে সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পাবে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় নির্মাতারা সিনেমাগুলো ঈদে মুক্তি দিয়েছেন। তিন বছর ধরে এমনটিই হয়ে আসছে আমার ছবির ক্ষেত্রে। কাকতালীয়ভাবে পরপর তিন বছর আমার সিনেমা শুধু ঈদেই মুক্তি পেয়েছে।

জাগো নিউজ: দুটি সিনেমার কোনটি নিয়ে কি নেতিবাচক মন্তব্য পেয়েছেন?
বুবলী : এখন পর্যন্ত নেতিবাচক কোনো মন্তব্য শুনতে পাইনি। সবাই ইতিবাচক মন্তব্যই করছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাই দেখছি। সবাই ছবি দেখে নিজেদের আইডিতে এবং গ্রুপে মন্তব্য শেয়ার করছে, রিভিউ দিচ্ছে।

জাগো নিউজ: ক্যাপ্টেন খান ছবির কাজ কতুটুকু এগিয়েছে?
বুবলী : কিছুদিনের মধ্যে এই ছবির কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। আগামী মাসের মধ্যেই ছবির কাজ শেষ হয়ে যাবে। আসছে কোরবানির ঈদেই ‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জাগো নিউজ : সব শেষে দর্শকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চান?
বুবলী : দর্শকের জন্যই তো সব। তারা সিনেমা দেখে বলেই অনেক অনেক টাকা লগ্নি করে সিনেমা নির্মাণ হয়। তারা আছেন বলেই আমরা আছি। বাংলা সিনেমার সকল দর্শকদের প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো। সবাইকে দেশের সিনেমার সঙ্গে থাকার জন্য অনুরোধ করি। আমার জন্য দোয়া করবেন যেনো আরও ভালো ভালো সিনেমা উপহার দিতে পারি।

জাগো নিউজ : জাগো নিউজকে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
বুবলী : আপনাকেও জাগো নিউজকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আইএন/এমএবি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।