যে কারণে আসিফের বিরুদ্ধে রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৩ পিএম, ০৬ জুন ২০১৮

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের পাচঁ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সিআইডির উপ-পরিদর্শক প্রলয় রায় এই রিমান্ড আবেদন করেন। দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম কেশব রায়ের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ্য করেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। মামলার আসামি আসিফকে জামিন দিলে পলাতক হতে পারে।ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং মূল হোতাকে খুঁজে বের করার জন্য আসামি আসিফকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন রয়েছে। স্বল্প সময়ে আসামিদের নাম-ঠিকানা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আসিফের সহযোগীদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।

রিমান্ড আবেদনে তিনি আরও উল্লেখ্য করেন, এই কাজে ব্যবহার করা ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইসের পরিচিতি এবং আসিফের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানার জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ জুন) দিবাগত রাত দেড়টায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তেজগাঁও থানার দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৫।

শফিক তুহিন মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চ লাইট নামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন।

পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রা. লি. কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লি. গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লি. ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।

এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, পরে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এই ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তার প্রায় ৩২ লাখ লাইকার সমৃদ্ধ ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন।

ভিডিওতে আসিফ আকবর তাকে (শফিক তুহিন) শায়েস্তা করবেন-এ কথা বলার পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। এই নির্দেশনা পেয়ে আসিফ আকবরের ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। আসিফ আকবরের এই বক্তব্য লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। এতে তার (শফিক তুহিন) মানহানি হয়েছে।

এজাহারে শফিক তুহিন আরও উল্লেখ করেন, বিষয়টি সংগীতাঙ্গনের সুপরিচিত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার প্রীতম আহমেদসহ অনেকেই জানেন।

জেএ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।