মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলের নিষেধাজ্ঞায় ভাঙচুর
সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ, বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকেরা। এসময় তারা অচিরেই সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের যাওয়ারও ঘোষণা দেন। বিক্ষোভের সময়ে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধরা।
জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনায় মহাসড়কে শনিবার থেকে অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর প্রতিবাদে সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলার মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় কয়েকশ অটোরিকশা চালক। ওই সময়ে তারা ৬-৭টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
সকাল ১০টা থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ও বন্দরের মদনপুরে মহাসড়কে বিক্ষোভের কারণে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দফায় দফায় যান চলাচল বন্ধ থাকে।
বেলা ১২টায় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে অবস্থান নেন শত শত অটোরিকশা চালক। তারা সেখানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে তারা কাঁচপুর সেতুর পূর্ব ঢালে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
শিমরাইলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) জহিরুল ইসলাম জানান, মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখানোর সময় তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, সকালে ১৫ মিনিটের জন্য সড়ক অবরোধ করেছিল এখন রাস্তায় যান চলাচল করছে।
এদিকে সকাল ১১টায় শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা সমাবেশ ও মানববন্ধন করে দ্রুত সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
মো.শাহাদাৎ হোসেন/এমজেড/এমআরআই