বঙ্গোপসাগরে প্রবল মৌসুমী বায়ু


প্রকাশিত: ০৩:৩৭ এএম, ০১ আগস্ট ২০১৫

মৌসুমী বায়ু প্রবল থাকায় ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড় কোমেন। এর প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে টানা অথবা থেমে আরো দুদিন এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

ক্রমান্বয়ে নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে উৎসারিত এই ঝড়-কোমেন। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা বন্দরের ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া ১১ জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ২ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে হবে। একই সঙ্গে ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদীগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে।

আবহাওয়া বিভাগ থেকে জানানো হয়, অতিবৃষ্টির কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। এসব এলাকায় পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে। বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি প্রবাহ বাড়বে। ইতিমধ্যে তিনটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন নদীতে পানি প্রবাহ বেড়েছে বেশি।

আবহাওয়া অধিদফতর ও বন্যা তথ্য কেন্দ্রের পৃথক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত লামা, বান্দরবান, টেকনাফ, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, রামগড়, পাবনা ও কুষ্টিয়ায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলায় ১৫০ মিলিমিটার। রংপুর বিভাগের সদর জেলা, দিনাজপুর ও সৈয়দপুরে কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা যায়নি।

এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।