পাঞ্জাবে হামলার ঘটনায় ভারতজুড়ে সতর্কতা
পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে গুরুদাসপুর জেলার পুলিশ সুপার বলজিৎ সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গিদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছে বলে জানিয়েছেন আহত এক পুলিশকর্মী। এই হামলার জেরে গোটা ভারতজুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
দেশটির সংসদ চত্বরকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সংসদে হই-হট্টগোল শুরু করেছেন বিরোধীরা। এ ধরনের ঘটনায় সব দলের একসুর হওয়া উচিত বলে মত ভারত সরকারের।
পাকিস্তানের নারওয়াল থেকে পাঞ্জাবে ঢুকেছিল জঙ্গিরা। গুরুদাসপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রাথমিকভাবে এটাই সন্দেহ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর। পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে এক জঙ্গির। বাকি আরো চার-পাঁচ জন ওই এলাকাতেই কোথাও রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাঞ্জাবের সমস্ত জেলায় জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। গুরুদাসপুরের দিকে সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গুরুদাসপুর, পাঠানকোট, অমৃতসরসহ বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন ও সমস্ত রেলওয়ে ট্র্যাকে চেকিং করছে বোমা ডিসপোজাল স্কোয়াড। তবে, কেউ জঙ্গিদের হাতে পণবন্দি নেই বলে আশ্বস্ত করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকর ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে ছিলেন বেঙ্কাইয়া নাইডু, নীতিন গড়করিসহ অন্যান্য মন্ত্রীরাও।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাক সীমান্ত এলাকাগুলিতে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই হামলার ঘটনাকে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে বিভিন্ন মহল। তবে, এখনো কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
শিরোমণি অকালি দল মনে করছে, এই ঘটনার পিছনে আইএসআইয়ের হাত রয়েছে। যদিও কংগ্রেস নেতা প্রতাপ সিং বাজওয়া আশঙ্কা করছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গিরা ও খালিস্তানি জঙ্গিরা যৌথভাবে এই হামলা চালাতে পারে। বিভিন্ন সূত্রে উঠে আসছে লস্কর-এ-তৈওবার নামও।
বিএ