আমার পুরস্কারটি দর্শকদের পাওনা : চঞ্চল চৌধুরী
‘আমি মনে করি আমার এই পুরস্কারটি দর্শকদেরই পাওনা। তারা কষ্ট করে হলে এসে সিনেমা দেখেছেন। সিনেমাকে ভালোবেসে ও আমাদের ভালোবাসে দেশের সিনেমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তারাই। মন্দার বাজারে তারা আমার ছবিটিকে বেছ নিয়েছেন ভালো লাগার ছবি হিসেবে। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’
জাগো নিউজের কাছে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি এভাবেই প্রকাশ করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
‘আয়নাবাজি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য এই পুরস্কার উঠছে চঞ্চলের হাতে। তিনি আরও বললেন, ‘আমি এর আগেও ‘মনপুরা’ ছবির জন্য এই পুরস্কার পেয়েছি। এবার ‘আয়নাবাজি’ আমাকে এই সম্মান এনে দিল। ‘আয়নাবাজি’র নির্মাতা অমিতাভ রেজাসহ ছবিটির পুরো টিম ও আমার প্রিয় দর্শকের কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ভালো লাগার ব্যাপারটি হলো আমাদের চলচ্চিত্র এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় আয়োজনে চলচ্চিত্রের উপর সবচেয়ে বড় সম্মান এই পুরস্কার। অনেক ভালো লাগছে এটা পেয়ে। এই খুশি প্রকাশ করার ভাষা আমারা জানা নেই।’
এবারের চূড়ান্ত তালিকায় সর্বোচ্চ ৭টি বিভাগে পুরস্কার পেতে যাচ্ছে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ ছবিটি। ছবির নির্মতা পাচ্ছেন শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার। অন্য পুরস্কারগুলো হলো-
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : ইকবাল আহসানুল কবির, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : রাশেদ জামান, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রিপন নাথ, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : ফারজানা সান, আয়নাবাজি।
২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়ে ঢালিউডে ইতিহাস গড়ে ‘আয়নাবাজি’। দেশে-বিদেশে সমানভাবেই সুনাম কুড়িয়েছে সিনেমাটি। এবার পুরস্কার পেয়েও দেখালো চমক।
এমএবি/এলএ/জেআইএম