ময়মনসিংহের চরাঞ্চলে ভাঙচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
ময়মনসিংহ জেলার চরঈশ্বরদিয়ায় ভাঙচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন এলাকার ক্ষতিগ্রস্থরা। জানা গেছে, সেলিম বাহিনীর প্রধান সেলিমের নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার রাতে অর্ধশত বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এসময় তারা সেলিম বাহিনীর প্রধান সেলিমের গ্রেফতার দাবি করেন।
পরে কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ এসে সেলিমকে গ্রেফতারের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং পুলিশের সহযোগিতায় এলাকায় ফিরে যান ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সদস্যরা।
এদিকে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় চর ঈশ্বদিয়া বেড়িবাঁধ এলাকার আসাদুজ্জামান জামাল বাদী হয়ে সেলিমপ্রকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।
জানা যায়, চর ঈশ্বরদিয়া এলাকার বেড়িবাঁধ এলাকার প্রভাবশালী সেলিম ও আসাদুজ্জামান জামালের সঙ্গে ঠিকাদারী নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। তারা দুজনই সরকারদলীয় বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার বেড়িবাঁধ এলাকায় জামাল সমর্থকদের অর্ধশত বাড়িঘরে সশস্ত্র হামলা ও ভাঙচুর চালায় সেলিম বাহিনী। শুক্রবার আসাদুজ্জামান জামাল বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে সেলিম বাহিনী আবারো হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী।
এরপর গতকাল শনিবার বিকেলে এলাকার প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের নারী-পুরুষ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় আসাদুজ্জামান জামাল জাগো নিউজকে জানান, সন্ত্রাসী সেলিম বাহিনীর ভয়ে এলাকার লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন। তারা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এদিকে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আতাউল করিম খোকন/এমজেড/এমএস