ফতুল্লায় এক সন্ত্রাসীর গুলিতে অপর সন্ত্রাসী নিহত


প্রকাশিত: ০৩:২০ এএম, ২৪ জুলাই ২০১৫
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক সন্ত্রাসীর গুলিতে অপর সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। নিহত সন্ত্রাসীর নাম বাবু (৩৫)। তিনি ফতুল্লার গাবতলী এলাকার তোফাজ্জলের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় গাবতলী এলাকায় সন্ত্রাসী রফিক গুলি করে বাবুকে হত্যা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েকমাস আগে সন্ত্রাসী রফিকের ডিশ লাইনসহ গাবতলী, টাগারপাড় এলাকার ঝুট সেক্টর দখলে নেয় বুইট্রা শাহিন-লিটন বাহিনী। ওই সময় রফিকের ভাই উজ্জলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেন। এরপর থেকে রফিক আত্মগোপন করেন। প্রতিদিনের ন্যায় শাহিন-লিটন গ্রুপের বাবুসহ অন্যরা ডিস লাইন অফিসে বসে আড্ডা মারছিলেন।

এসময় দীর্ঘদিন পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় একটি মোটরসাইলে করে রফিক তার এক সহযোগীকে নিয়ে টাগারপাড় এলাকায় আসেন। তখন ওই ডিস অফিস থেকে বের হয়ে বাবুসহ অন্য সন্ত্রাসীরা রফিককে আটক করে একটি বাড়ির গলিতে নিয়ে যান এবং মারপিট করতে থাকেন। তখন সন্ত্রাসী রফিক তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে বাবুর বুকে ঠেকিয়ে একটি গুলি করেন। এরপর বাবুর লোকজন দৌড়ে পালিয়ে গেলে রফিক পর পর কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যান। পরে গুলিবিদ্ধ বাবুকে এলাকার লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, গাবতলী ও টাগারপাড় এলাকার ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জিলানীর ছেলে রফিক-উজ্জল বাহিনীর সঙ্গে বুইট্রা শাহিন-লিটন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে রফিক এলাকায় ফিরে আসার পর বাবুসহ অন্যরা রফিককে আটক করলে রফিকের কোমরে থাকা পিস্তল দিয়ে বাবুকে গুলি করেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান। বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আর সন্ত্রাসী রফিককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।     

মো.শাহাদাৎ হোসেন/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।