৭ দিনের মধ্যে শাকিবের মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
চিত্রনায়ক শাকিব খানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে মামলা হয় গেল বছরের অক্টোবর মাসে। হবিগঞ্জের জৈষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম সম্পা জাহানের আদালতে মামলা করেন জেলার বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের ইজাজুল মিয়া। এখনো এ মামলার প্রতিবেদন জমা পড়েনি। ৭ দিনের মধ্যে শাকিবের এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে কেন নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি তারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে ডিবি পুলিশের ওসির কাছে। গতকাল রোববার মামলার ধার্যকৃত তারিখে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রায় দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ জানান, মামলার প্রতিবেদন দাখিলের সময় একাধিকবার বাড়ানো হয়। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দেননি। সে কারণেই এ আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ডিবির এসআই ইকবাল বাহার। পরবর্তীতে ওসি শাহ আলম নিজেই নেন তদন্তের দায়িত্ব, তিনি বলেন, তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, শাকিব খান অভিনীত ‘রাজনীতি’ সিনেমার একটি দৃশ্য নিয়ে এ মামলার সূত্রপাত। ছবিতে নায়িকা অপু বিশ্বাসকে একটি মোবাইল নম্বর দেন শাকিব খান। সেটি ছিল বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের মোবারক মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক ইজাজুলের মোবাইল নাম্বার। এটি খোলা পেয়ে প্রতিদিন শত শত শাকিব ভক্তরা ইজাজুলকে কল দিয়ে তাকে শাকিব মনে করে তার সঙ্গে কথা বলতে চায়।
অনেকে তার সঙ্গে দেখাও করতে চায়। এমনকি দুই একজন চলেও আসে তার বাড়িতে। এক নারী ভক্ত চলে আসায় তার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক আছে ভেবে ইজাজুলকে ছেড়ে যায় তার স্ত্রী। এসব কারণেই বিরক্ত হয়ে ইজাজুল আইনের দ্বারস্থ হন।
গেল বছরের ২৯ অক্টোবর ৫০ লাখ টাকার মানহানির অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। শাকিবের পাশাপাশি ‘রাজনীতি’ ছবির প্রযোজক আশফাক আহমেদ ও পরিচালক বুলবুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধেও একটি সাধারণ ডায়রি করেন ইজাজুল।
এমএবি/এলএ/পিআর