গুলশানে প্রথম জানাজা, আজিমপুরে সমাহিত হবেন রুপু
আর নেই গানের নন্দিত মানুষ আলী আকবর রুপু। পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। তার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগীতাঙ্গনে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন গীতিকার লিটন অধিকারী রিন্টু।
আলী আকবর রুপুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়ে তার ব্যবহার করা নাম্বারটিতে বেশ কয়েকবার কল দিলে রিসিভ হয়নি। এরপর সেটি রিসিভ করেন তার মেয়ে ফারিয়া নাজ। তিনি ফোন ধরেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, কোনো কথাই বলতে পারছেন না। বাবাকে হারিয়ে যেন শোকের সাগরে ভাসছেন ফারিয়া।
আলী আকবর রুপুর দীর্ঘদিনের বন্ধু লিটন অধিকারী রিন্টু জানালেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে রুপুর পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। হানিফ সংকেতসহ রুপুর কাছের মানুষ ও আত্মীয়রা হাসপাতালে ছুটে আসছেন। আলী আকবর রুপুর মরদেহ এখনো ইউনাইটেড হাসপাতালেই রয়েছে। সেখান থেকে গোসল দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে গুলশানের আজাদ মসজিদে। বাদ আসর সেখানে অনুষ্ঠিত হবে রুপুর প্রথম জানাজা।
এরপর লাশ যাবে বাংলাভিশনের পেছনে অবস্থিত শ্রুতি স্টুডিওতে। দীর্ঘদিন এখানে কাজ করেছেন রুপু। তৈরি করেছেন অনেক শ্রোতাপ্রিয় গানের সুর ও সংগীত। সেখানে বাদ মাগরিব দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রুপুর আবাসস্থল মগবাজারের ডাক্তার গলিতে। তারপর বাদ এশা বড় মগবাজার জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে তার শেষ জানাজা।
আলী আকবর রুপুকে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
প্রসঙ্গত, অনেকদিন ধরেই ডায়াবেটিস, হার্ট ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন আলী আকবর রুপু। হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গেল শুক্রবার তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্ট্রোক হলে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এলএ