রাজনের খুনি কামরুলকে অচিরেই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে


প্রকাশিত: ১১:৩৩ এএম, ২২ জুলাই ২০১৫
ফাইল ছবি

সিলেটে নির্মম নির্যাতনে নিহত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনের শহরতলির কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এবার পরিবারের সদস্যদের শান্তনা ও কঠোর শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার বিকেল ৩টায় মন্ত্রী বাদেআলী গ্রামে পৌঁছলে স্থানীয় গ্রামবাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে তিনি রাজনের বাবা আজিজুর রহমানকে জড়িয়ে ধরে শান্তনা দেন। এ সময় রাজনের বাবার হাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলালয়ের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেন মন্ত্রী।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব থেকে কামরুলকে ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কামরুল ইসলামের নামে ইন্টারপুলের নোটিস জারির কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অচিরেই কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

আসাদুজ্জামান খান আরো বলেন, আমরা তো রাজনকে আর জীবিত ফিরিয়ে আনতে পারবো না। তবে দেশের মানুষ তাঁর খুনিদের কঠোর শাস্তি দেখতে পারবেন। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে রাজন হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করবে সরকার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলার এক পর্যায়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, এতখানি একটা নিষ্পাপ শিশুকে তারা পিঠিয়ে মেরে ফেললো একবারও কি তাদের মনে একটুও দাগ কাটেনি। সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের কারণেই এটি তারা করতে পেরেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেটের জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট পৌঁছে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিযারত করেন। পরে তিনি বিজিবি সিলেট সেক্টর পরিদর্শনে যান। সেখানে মন্ত্রীকে সেক্টর কমান্ডার জামাল মাহমুদ সিদ্দিকী স্বাগত জানান।

গত ১৫ জুলাই নির্মম নির্যাতনে নিহত শিশু রাজনের পরিবারকে শান্তনা দিতে তাদের শহরতলির গ্রামে ছুটে যান নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। সেদিন তিনি রাজনের বাবার হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

এর দুই দিনের মাথায় ১৭ জুলাই শুক্রবার বাদেআলী গ্রামে যান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি রাজনের শোকে পাথর হয়ে যাওয়া বাবা-মাকে শান্তনা দিয়ে খুনিদের ও খুনিদের রক্ষায় সহায়তা করেছে তাদের কাউকে ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দেন। পরে নিহত রাজনের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করে কয়েকজন যুবক।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।