পদ্মাবত মুক্তি দিতে আদালতের নির্দেশ

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৮ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

বিতর্ক থামছেই না রণভীর-দীপিকা-শহিদ অভিনীত ‘পদ্মাবত’ সিনেমাটি নিয়ে। সঞ্জয়লীলা বানসালির এই ছবিটি আলোচনার তুঙ্গে ছিলো শুটিংয়ের শুরু থেকেই। নানা বিতর্কের পথ পাড়ি দিয়ে আগামী ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ছবিটির।

সেন্সর বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী নানা পরিবর্তন আনার পর ছাড়পত্র পেয়েছে এই ছবিটি। এমনকী, নামও পাল্টে ফেলেছেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি। ‘পদ্মাবতী’ থেকে পরিবর্তন করে তিনি তার ছবির নতুন নাম রেখেছেন ‘পদ্মাবত’। এতকিছু করা সত্ত্বেও ছবি মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছিল রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানা সরকার। গত বৃহস্পতিবার এই চার রাজ্যেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আদেশ দিয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

সোমবার ফের শীর্ষ আদালতের কাছে সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে পিটিশন দাখিল করে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ সরকার। তারা বলেছিল, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা যেমন রাজ্য সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব, তেমনি কোনো ছবির জন্য আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকলে সেই ছবিকে নিষিদ্ধ করাও রাজ্যে সরকারের দায়িত্ব।’

আজ মঙ্গলবার সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি দুই রাজ্য সরকারের ভূমিকাকে কটাক্ষ করেছে দেশটির আদালত। বলেছে, ‘এই দুই রাজ্য নিজেরাই সমস্যা তৈরি করে ছবিটি নিষিদ্ধ করার জন্য শীর্ষ আদালতে এসেছে। এটা হাস্যকর। সব রাজ্যই আদালতের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট দিনে ‘পদ্মাবত’ মুক্তি দিতে বাধ্য থাকবে।’

এই ছবিতে অভিনেত্রী দীপিকা অভিনয় করছেন রাণী পদ্মাবতীর ভূমিকায়। দীপিকার এই চরিত্রটি নিয়েই শুরু থেকে বিরোধিতা করে আসছে রাজস্থানের রাজপুত ও করণী সেনারা। তাদের অভিযোগ, ছবিতে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে এবং রাণী পদ্মাবতীর চরিত্রকে খাটো করে দেখানো হয়েছে। কিন্তু শুরু থেকেই এই সব অভিযোগই অস্বীকার করে আসছেন নির্মাতা বানসালি। তিনি দাবি করেন, ছবিতে কোনো ইতিহাস বিকৃত করা হয়নি।

তবুও সেইসব কথা বিশ্বাস না করেই রাজস্থানের রাজপুত ও করণী সেনারা আন্দোলনে নাম। তারা সারা রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে একে একে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানা। এবার দেখার পালা, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ছবিটি আর কোনো বাঁধার মুখে পড়ে কী না।

এলএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।