আজ নায়করাজের জন্মদিন
তিনি বাংলার নায়করাজ। সেলুলয়েডের ফিতায় তার অসংখ্য চরিত্র অমর হয়ে আছে দর্শকের হৃদয়ে। যার মধ্যে ছুটির ঘণ্টার স্কুল দপ্তরী, জীবন থেকে নেয়ার বিপ্লবী যুবক অন্যতম। বলছি ঢাকাই ছবির অহংকার রাজ্জাকের কথাই। জীবনের মানচিত্রে বহুপথ পাড়ি দিয়ে গেল বছরের ২১ আগস্ট পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি।
আজ ২৩ জানুয়ারি চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তির জন্মদিন। বেঁচে থাকলে ৭৭ বছরে পা রাখতেন তিনি। নায়করাজের জন্মদিনকে ঘিরে চলচ্চিত্রাঙ্গনসহ শোবিজের নানা অঙ্গনে থাকবে বর্ণিল আয়োজন। সবাই তাকে স্মরণ করবেন শ্রদ্ধায়। ব্যক্তিগতভাবে তো বটেই নানা সাংস্কৃতিক-চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠনগুলোও ভালোবাসায় আজ সিক্ত করবেন প্রিয় নায়ককে। দেশের রেডিও-টেলিভিশন ও সংবাদপত্রগুলোতেও চোখে পড়বে নানা আয়োজন।
১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন রাজ্জাক। জন্ম কলকাতার টালিগঞ্জে হলেও দেশভাগের সময় তিনি পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় পাড়ি জমান। নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে নায়করাজের যাত্রা শুরু হয় জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন কোহিনূর আক্তার সুচন্দা।
প্রযোজক হিসেবে নায়করাজের যাত্রা শুরু ‘রংবাজ’ ছবিটি প্রযোজনার মধ্য দিয়ে। এটি পরিচালনা করেছিলেন জহিরুল হক। রাজ্জাকের বিপরীতে ছিলেন কবরী। ববিতার সঙ্গে জুটি বেঁধে নায়করাজ প্রথম নির্দেশনায় আসেন ‘অনন্ত প্রেম’ চলচ্চিত্র দিয়ে। এই ছবিটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে। নায়ক হিসেবে এ অভিনেতার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল শফিকুর রহমান পরিচালিত ‘মালামতি’। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নূতন।
নায়করাজ রাজ্জাক সর্বশেষ তার বড় ছেলে নায়ক বাপ্পারাজের নির্দেশনায় ‘কার্তুজ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চলচ্চিত্রে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রয়াত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামও অভিনয় করেছিলেন। চাষী নজরুল ইসলামের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমাতেও রাজ্জাক অভিনয় করেছিলেন।
অন্যদিকে নায়করাজ সর্বশেষ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘আয়না কাহিনী’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রে জুটি হিসেবে অভিনয় করেছিলেন সম্রাট ও কেয়া। এরপর আর নতুন কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণে তাকে দেখা যায়নি।
এলএ/বিএ