মেসির যোগ্য নয় আজেন্টিনা!


প্রকাশিত: ১০:৫৬ এএম, ১৭ জুলাই ২০১৫

কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারার পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন আজেন্টিনার ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি। তার বিরুদ্ধে এই রকম সমালোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বড় ভাই ম্যাতিয়াস মেসি।
 
এলএম টেনের সমালোচকদের একহাত নিয়ে ম্যাতিয়াস বলেন, ‘লিওনেল মেসির মতো ফুটবলার পাওয়ার যোগ্যই নয় আর্জেন্টিনা।’

এমনিতেই কোপা শেষে এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন। কর্তারা নাকি আলোচনা করে দেখছেন, কেন কোপায় এত ভাল ফুটবলার নিয়েও জিততে পারল না দল। তবে এই ব্যর্থতার যাবতীয় দায় যেন পড়েছে মেসির ঘাড়েই। আর সেটাই নাকি মেনে নেওয়া যাচ্ছে না, জানিয়ে দিচ্ছেন ম্যাতিয়াস। নিজের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে বিস্ফোরক মাতিয়াস আরও পোস্ট করেন, ‘মেসির একমাত্র দোষ হচ্ছে ও আর্জেন্টাইন।’

শুধু মাত্র আর্জেন্টিনা নয়। এখন বার্সেলোনা নিয়েও কম দোটানায় নেই মেসি। শনিবার ক্লাব নির্বাচনে প্রেসিডেন্টের দৌড়ে হোসে মারিয়া বার্তেমিউয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চলেছেন হুয়ান লাপোর্তা। যার সঙ্গে মেসির সম্পর্ক দারুণ। ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জনসমক্ষে কিছু না বললেও মেসির পছন্দ নাকি লাপোর্তাই।

এর আগেও ২০০৩ থেকে ২০১০, প্রেসিডেন্ট ছিলেন লাপোর্তা। যে সময় বার্সা প্রথম দলে আস্তে আস্তে নিজেকে নিয়মিত করে তুলছিলেন মেসি। আর এবারও এলএমটেন নাকি তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে বলে রেখেছেন, তার পছন্দ লাপোর্তাই।

বার্তেমিউ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে মেসির ফর্মের চাকা ঘুরলেও তাঁর সঙ্গে বার্সার বর্তমান কর্তাদের সম্পর্ক ভাল নয়। গত মওসুমে নেইমারকে তার চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দেওয়ায় এমনিতেই চটেছিলেন মেসি। ক্লাবের সাবেক অর্থনৈতিক ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের ফাউসের সম্বন্ধে এলএম টেন বলেছিলেন, ‘ফাউস কিছু জানে না ফুটবল সম্পর্কে।’ পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় যে মেসিকে বিক্রি করার কথাও ভেবেছিল ক্লাব।

তবে লাপোর্তা ক্লাব সমর্থকদের আশ্বস্ত করেছেন, তিনি ক্ষমতায় এলে নাকি মেসি আরও খুশি থাকবে। ‘কথা দিচ্ছি মেসিকে কোনও সময় বিক্রি করার কথা ভাবব না। আমি প্রেসিডেন্ট হলে মেসি আরও খুশি থাকবে। কঠিন সময়েও ওর পাশে দাঁড়াব। ওকে সমর্থন করব।’

এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।