আদম পাচারের সংবাদে চিত্রপরিচালক স্বপন আহমেদের ক্ষোভ

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

আদম পাচারের দায়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুনসহ মালয়েশিয়ায় ৫৭ জনসহ গ্রেফতার হয়েছেন। এই খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়েই সমালোচনার মুখে পড়েছে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি। বিব্রতবোধ করছেন চলচ্চিত্রের মানুষরাও।

এরই মধ্যে একটি গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে ‌‘লালটিপ’ ও ‘পরবাসিনী’ খ্যাত নির্মাতা স্বপন আহমেদ ফ্রান্সে আদম পাচারের সঙ্গে জড়িত। তার সঙ্গে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমাও এই অবৈধকাজে জড়িত বলে দাবি করে সেই সংবাদমাধ্যম।

এ বিষয়ে পূর্ণিমার কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও আদম পাচারের এই খবরকে মিথ্যা দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন নির্মাতা স্বপন আহমেদ। তিনি নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে এক সাংবাদিক বন্ধুর লিঙ্ক পেলাম, সেখানে শুটিংয়ের জন্য আমার এবং পূর্ণিমার নাম দিয়ে আদম পাচার করার যে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদটি সাজানো হয়েছে তার প্রতিবাদ করছি, কথা বলেছি পোর্টালটির প্রধান সম্পাদকের সাথে এবং আহ্বান জানিয়েছি তদন্ত করে সঠিক সংবাদটি পরিবেশন করার জন্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে ভবঘুরে সিনেমাটির শুটিংয়ের কথা ছিল। কিন্তু শুটিং এর পারমিশন ও ফ্রান্সের ভিসা পেতে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পার হয়ে যায়। ইউরোপে তখন শীত চলে আসে তাই স্বাভাবিকভাবেই সকল গণমাধ্যমকে অবহিত করেই শুটিংয়ের সময় পরিবর্তন করে এপ্রিল এ নিয়ে যাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিউজটির সকল তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি সকল সাংবাদিক ভাইদের ফ্রান্স দূতাবাসে খোঁজ-খবর নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আজ পর্যন্ত আমার আমন্ত্রণে ইউরোপে এসে কেউ থেকে যায়নি বলেই ফ্রান্স দূতাবাস আমার আমন্ত্রণপত্র গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে এবং ভিসা দিয়ে থাকে।’

স্বপন আহমেদ আরও লিখেছেন, ‘গত ২ মাসে আমার আমন্ত্রণে ১৬ জন ফ্রান্সের ভিসা পেয়েছেন তার মধ্যে ঢাকা অ্যাট্যাক টিমের ৯ জন যারা সকলে ইতোমধ্যে ইউরোপে ঘুরে চলে গেছেন। এবং ভবঘুরে ছবির জন্য ৭ জন পূর্ণিমা, তার স্বামী ও সন্তান, অভিনেতা ফারুক আহমেদ, শিমুল খান, শিপন মিত্র ও জীবন। ভিসা নেয়ার পর তারা সকলেই এখন বাংলাদেশে যেহেতু আমরা শুটিং করিনি। তাহলে কেন এই মিথ্যা সংবাদ? ফ্রান্স দূতাবাস ভালো করেই জানে আমি কাদেরকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছি এবং তারাও কাদেরকে ভিসা দিয়েছে এবং আমার আমন্ত্রণে কোনো লোক এসে কখনো ইউরোপে থেকে গেছে কি না। তাই এইসব প্রতিহিংসামূলক খবরের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আমি একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা তাও চেষ্টা করছি। সবাই ভালো থাকুন, বাংলা চলচিত্রের সাথে থাকুন।’

এলএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।