পাকসেনাদের অনুকরণ করেছে রাজনের খুনিরা (ভিডিও)


প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৫

বর্বর, নির্মম, নিষ্ঠুর যাই বলুন না কেন, সব উপমাকে হার মানিয়েছে এই নির্মমতা। প্রত্যেক খুনই নির্মম ও খুনিই পাষণ্ড। তাই বলে কি ১৩ বছরের শিশুকে কেউ এভাবে খুন করতে পারে?  এ প্রশ্ন এখন সিলেটের সচেতন মহলের।  যারা চোর অপবাদ দিয়ে শিশুটিকে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করে খুন করেছে তাদের ফাঁসি দাবি করেছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। অন্যদিকে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নির্মম খুনের কঠোর শাস্তি না হলে এমন অপরাধ সমাজে বাড়তে থাকবে।

গত ৮ জুলাই বুধবার শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে শহরতলির কুমার বাসস্টেশন এলাকার একটি ওয়ার্কশপের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে খুন করা হয়। এরপর লাশ মাইক্রোবাসে করে গুম করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে মুহিত নামের এক খুনি।  নিহত রাজন সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও বাসস্টেশন সংলগ্ন কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদে আলী গ্রামের মাইক্রোবাস চালক শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে।  এ ঘটনায় জালালাবাদ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় রাজনের লাশ ফেলার সময় হাতেনাতে আটক মুহিত ও তার ভাই কামরুল ইসলাম (২৪), তাদের সহযোগী আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকে (৪৫) আসামি করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের তিনদিনের মাথায় শিশুটিকে নির্মম নির্যাতন করে খুন করার একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ পায়।  ২৮ মিনিটের এই ভিডিও ক্লিপ দেখে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সিলেটের সর্বত্র।  এই ঘটনাটি এখন সিলেটে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।  শুধু সিলেট নয়, শিশু রাজন খুনের নির্মমতায় নড়েচড়ে বসেছেন দেশের মানুষ।
 
অপরাধ বিশেষজ্ঞ সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল সৈয়দ আলী আহমদ (অব.) জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশের আইনে শিশুকে অপরাধী বলা যাবে না। শিশুকে আইনে সুরক্ষা দেওয়া আছে। যদি কোনো শিশু অপরাধের সঙ্গে জড়িতও হয় তাহলে একজন বিচারক তাকে কারাদণ্ড না দিয়ে শিশু সংশোধনাগারে পাঠাতে পারেন। এ অবস্থায় একটা ১৩ বছরের শিশুকে চোর অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা, আবার ওই হত্যার দৃশ্য ভিডিও করা - কোনো সভ্য সমাজে হতে পারে না।

তিনি বলেন, শিশু নির্যাতন করে হত্যা ও ভিডিও ধারণের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া উচিত। নইলে ভবিষ্যতে এধরণের শিশু নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।

টিআইবির অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক সিলেটের সাবেক সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন,  নির্মম খুনের ভিডিও করে প্রকাশ করা খুনিদের চরম ধৃষ্টতা। এমন নির্মম অপরাধ রোধ করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের আরো কঠোর হওয়া উচিৎ।

তিনি বলেন, একটা শিশুকে যারা পাষণ্ডের মতো খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করে খুন করেছে, তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত।



# যে কাহিনী হৃদয়ে ঝড় তোলে

ছামির মাহমুদ/এমএএস/আরআইপি/এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।