অটোরিকশা চালকের মামলা, ‌‌‘রাজনীতি'র পরিচালক-প্রযোজককে জিজ্ঞাসাবাদ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৭:৫২ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

অটোরিকশা চালকের মামলায় নোটিশের জবাব দিতে হবিগঞ্জে এসেছেন ‘রাজনীতি’ ছবির পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ও প্রযোজক আশফাক আহমেদ।

রোববার রাতে তারা ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে হাজির হন। এ সময় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারাও মামলার বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কেও নিজেদের বক্তব্যে তারা স্বীকার করেছেন বলেও একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি’র এসআই ইকবাল বাহার জানান, তারা এসেছিলেন। কথা হয়েছে। এটি কোর্ট দরখাস্ত মামলা। তাদেরকে মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখন বাকি তদন্ত শেষে আদালতে রিপোর্ট দেয়া হবে। মামলাটির তদন্তভার প্রথমে তার কাছে ছিল। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছেন ডিবি’র ওসি মো. শাহ আলম। তিনি জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টির তদন্ত এখনও পুরো শেষ হয়নি। তদন্ত পুরো শেষ হলে আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হবে।

জানা যায়, প্রায় ২ ঘণ্টা ১৬ মিনিট ১১ সেকেন্ড ব্যাপী রাজনীতি চলচিত্রের ২৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডের সময় চলচিত্রের নায়িকা অপু বিশ্বাস একটি ডায়লগ দেন ‘এভাবে বার বার আর কোনো দিন চলে যেত দেব না আমার স্বপের রাজকুমার, জবাবে নায়ক শাকিব খান ডায়লগ দেন ‘আমিও তোমাকে আর ছেড়ে যাব না আমার রাজ কুমারী’, নায়িকা অপু বিশ্বাসের ডায়লগ ‘আমার ফেসবুক আইডি যে ‘রাজকুমারী’ তুমি তা জানল কী করে, জবাবে নায়ক শাকিব খান ডায়লগ দেন ‘যেভাবে তুমি জান আমার মোবাইল নাম্বার ০১৭১৫-২৯৫২২৬’। প্রকৃতপক্ষে গ্রামীণ ফোনের ০১৭১৫-২৯৫২২৬ মোবাইল নাম্বারটি চিত্রনায়ক শাকিব খানের নয়।

সেই মোবাইল নাম্বারের মালিক হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজলার যাত্রাপাশা গ্রামের মোবারক মিয়ার ছেলে ইজাজুল মিয়া। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর শাকিব খানের মোবাইল নাম্বার মনে করে অসংখ্য নারী পুরুষ ইজাজুলকে ফোন করতে থাকেন। দিন নেই, রাত নেই, দেশ-বিদেশ থেকে আসা শাকিব ভক্তদের ফোনে অতিষ্ট হয়ে উঠেন তিনি। এদিকে স্বামী নিজেকে নায়ক শাকিব খান পরিচয় দিয়ে পরনারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন সন্দেহে স্ত্রী মিশু আক্তার বাপের বাড়িতে চলে যান ১৬ মাস বয়সী একমাত্র শিশু কন্যা ইমুকে নিয়ে। কোনোভাবেই তাকে বুঝাতে পারেননি ইজাজুল। পরে সিনেমা দেখে মিশুর ভুল আংশিক ভাঙলেও এখনও ফিরেননি তিনি।

অন্যদিকে দিনে প্রায় ৭/৮শ’ ফোন আসার কারণে ইজাজুলের মোবাইল ব্যস্ত থাকে সারাদিন। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবসায়ী বাদল মিয়া তার সিএনজি অটোরিকশা চালকের চাকরি থেকে বাদ দেন। সবকিছু হারিয়ে শাকিব ভক্তদের মোবাইল ফোনে অতিষ্ট হয়ে অবশেষে ইজাজুল গত ২৮ অক্টোবর বানিয়াচং থানায় রাজনীতি সিনেমার প্রযোজক আশফাক আহমেদ, পরিচালক বুলবুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রি করেন। পরবর্তীতে ২৯ অক্টোবর আদালতে ৫০ লাখ টাকার মানহানির অভিযোগ এনে একটি মামলাও দায়ের করেন। উক্ত মামলায় নোটিশের জবাব দিতে পরিচালক ও প্রযোজক হবিগঞ্জে আসেন।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।