বিতর্কিত ছবি নিয়ে মুখ খুললেন স্পর্শিয়া
সময়ের আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া। ব্যস্ত সময় পার করছেন নাটক-টেলিছবির কাজে। কিন্তু তারই ফাঁকে তিনি হয়ে উঠেছেন বিতর্কের সেরা নায়িকা। সম্প্রতি তার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে। পিঠখোলা সেই ছবিটি নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের তৈরি হয়। শেষপর্যন্ত ছবিটি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
শনিবার নিজের ফেসবুকে পিঠখোলা সেই ছবি নিয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এ অভিনেত্রী।
তিনি লিখেছেন, আমি চাইলেই বলতে পারি এটা আমি না, কিন্তু এটা আমি। এটা কিন্তু ন্যুড না। আমি জানি, আমি ন্যুড না। কিন্তু আপনাদের দেখে মনে হতে পারে যে আমি ন্যুড। পিঠে কাপড় নাই। ছবিটা দৃষ্টিকটু হওয়ার কারণে আপ হওয়ার পরের দিনই টিজেড`স স্টোরকে অনুরোধ করেছিলাম ছবিটা নামাতে। তারা প্রোফাইল পিক থেকে নামালেও কোনো এক অ্যালবামে থেকে যায়। এটা আরো এক মাস আগের ঘটনা। কিন্তু আজকে কেন এটা নিয়ে কথা হচ্ছে?
আপনাদের বলতে চাই আমি এবং অনেকেই ব্লাউজ পরে পিঠ খুলে না রাখলেও ব্লাউজ এমন থাকে যে পুরা পিঠটাই দেখা যায়। বাট ওটা ঠিক আছে। আরো অনেক রকম ড্রেস পরে অনেকেই পিঠ খোলে রাখলেও ঠিক আছে। কিন্তু এটাতে শুধু চেইন ছাড়া। ড্রেস দেখা যাচ্ছে না দেখে এটা নিয়ে এতো বাজে কথা হচ্ছে। আমি একমত যে এটা কোনো ভালো ছবি না, দৃষ্টিকটু।
জনপ্রিয়তার জন্য বা তারকা হওয়ার জন্য এটা কি আমার পাবলিসিটি স্টান্ট? আপনারা অনেক আগেই আমাকে জনিপ্রয়তা দিয়েছেন। স্টার বানিয়েছেন। এখন কি এসব আমার আসলেই দরকার? না। তাহলে কেন এমন মন্তব্য? হ্যাঁ আমি খুব ঢাকা কাপড় এমনিতেই পরি না। কিন্তু এমন কাপড়ও পরি না যেটা আমি ক্যারি করতে পারি না। যেটা দেখতে বাজে লাগে। আর অবশ্যই আবেদনময়ী এবং ভালগারের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। ফুল হাতার কাপড় পরলেও কাউকে ভালগার লাগা সম্ভব। হ্যাঁ, এই ছবিটা ভালগার এসেছে। যার কারণে ছবিটা নামিয়ে ফেলা হয়েছিল। আজকে আবার আমার নামের পেইজ থেকে এটা অপাপলোড করা কেন?
আমার ভক্ত, ফলোয়ার এবং এমনকি যারা আমাকে ঘৃণা করেন তাদেরও বলছি, নায়লা নাঈম বিকিনি পরে ছবি দিলে আমি হিজাব পরে ছবি দিই না যে এখন উনি হিজাব পরলে আমাকে বিকিনি পরতে হবে! এটা রমজান মাস হোক আর না হোক এই ছবিটা আমি স্পর্শিয়া কখনোই আপ দেবো না। দিইনি। ছবি তোলাটাই হয় তো উচিত হয়নি, সেটা বলবো না। কারণ আমি জানি আমি কী করেছি আর কী পরেছি। আমি আশা করি আপনারা আমাকে বুঝবেন।
আমি জানি আমার এই স্ট্যাটাসে ওই ছবির মতো লাইক বা কমেন্ট পড়বে না। কারণ এটা ভালো। কি অদ্ভুত না? আপনাদের খারাপ জিনিস ভালোও লাগে আবার আপনারাই খারাপটা নিয়ে অভিযোগ করেন। যখন ভালো কথা লিখি তখন কেউই দেখেন না। যখন নুসরাত ফারিয়া আর আমি ঝগড়া করি তখন ফোনে কল পর্যন্ত চলে আসে আামাদের কাছে! এই দেশে জনপ্রিয় হওয়ার জন্য কাপড় খোলা বা পরার কোনোটারই প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন শুধু ফেসবুকিং করা। আপনাদের কাছে কারো ভালো হতেও সময় লাগে না, খারাপ হতেও সময় লাগে না। তবুও আপনাদের ভালোবাসি...
# অর্ধনগ্ন ছবিতে বিতর্কিত স্পর্শিয়া!
বিএ/আরআইপি/এসআরজে