৪ দিন পর মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার : আটক ৩


প্রকাশিত: ১১:২৩ এএম, ০২ জুলাই ২০১৫
কচুয়ায় মিলন হত্যাকারী তিন মাদকাসক্ত যুবক। মায়ের আহাজারি ও ইনসেটে মিলনের ছবি।

নিখোঁজের ৪ দিন পর চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কান্দিরপাড় গ্রামের মিলন (১২) নামে এক মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন মাদকাসক্ত যুবক সোহাগ (২০), রাব্বি (২১) ও শামীম (১৯) কে আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, সোমবার বিকালে প্রধানিয়া বাড়ির হতদরিদ্র তাজুল ইসলামের ছেলে মিলন বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘরে ফিরে না আসায় পরের দিন মঙ্গলবার  কচুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পরিবারের লোকজন। এদিকে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত শামীমের চলাফেলা ও কথাবার্তায় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে বুধবার রাতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ওই দু’জনসহ তারা মিলনকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। শামীমের স্বীকারোক্তি মোতাবেক স্থানীয় জনতা সোহাগ ও রাব্বিকে ধরে এনে গনপিটুনি দেয় এবং পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।

মিলনের চাচা বাবুল হোসেন জাগো নিউজকে জানান, মিলন নিখোঁজ হওয়ার পর একটি মোবাইল থেকে ইন্টারনেট নাম্বারে তার মুক্তিপণ বাবদ ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। স্থানীয়রা দাবি করেছে, যে মোবাইল থেকে চাঁদা দাবি করা হয়েছে সে মোবাইলটি সোহাগের মায়ের কাছে আছে। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তা উদ্ধারের জন্য সোহাগের বাড়িতে গেলে তার মাসহ পরিবারের কোন সদস্যকে পাওয়া যায়নি। তারা ঘরের তালা বন্ধ করে পালিয়ে গেছে।
 
এদিকে মিলনের মরদেহ উদ্ধারের সময় এলাকার শত শত লোক ভিড় জমায়। মিলনের ক্ষত বিক্ষত মরদেহ দেখে তার মা ও পরিবার সদস্যদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠে। তাদের আহাজারিতে উপস্থিত লোকজনের অনেকে চোখের পানি সংবরণ করে রাখতে পারেনি। মিলন হত্যার ব্যাপারে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

কচুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম খলিল জাগো নিউজকে জানান, মামলা তদন্তের স্বার্থে ও ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জবানবন্দি দেয়ার প্রয়োজনে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপার্দ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।

ইকরাম চৌধুরী/এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।