আদালতে কাঁদলেন মিলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৭
ফাইল ছবি

যৌতুকের মামলায় স্বামী পারভেজ সানজারির জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতে অঝোরে কাঁদলেন কণ্ঠশিল্পী মিলা ইসলাম। সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে মিলার স্বামী সানজারি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন আবেদন করেন। এ সময় তিনি আদালতে তার স্বামীর জামিনের বিরোধিতা করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মিলার স্বামীকে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত অপসের শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর কারাগার হতে জামিনে মুক্ত হন সানজারি।

সোমবারও আদালতে জামিন আবেদন করেন সানজারি। শুনানিতে আদালতে উপস্থিত হয়ে মিলা তার জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘বিয়ের চারদিন পর জোর করে আমাকে তালাক দিতে বলে সানজারি। আমি রাজি না হওয়ায় আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। বিয়ের আগে তার সঙ্গে আমার ১১ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ১১ বছরে কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু বিয়ের চারদিনের মধ্যে তার আচরণ পরিবর্তন হয়ে যায়। আমি তার জামিন নামঞ্জুরের জন্য আদালতের কাছে অনুরোধ করছি।’ এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মিলা।

গত ৫ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মারধর ও যৌতুকের অভিযোগে মিলা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পরই সানজারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সানজারিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত ৯ অক্টোবরও আদালত এ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন।

মিলার দায়ের করা মামলায় বলা হয়, বিয়ের পর পর্যায়ক্রমে কয়েকবার এ ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৩ অক্টোবর তাকে মারধর করা হয়। এর আগে তার স্বামী সানজারি পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছেন।

মামলায় আরও বলা হয়, যৌতুক নেওয়ার পর সানজারি আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেছেন। টাকা না পেয়ে তার স্বামী তাকে মারধরও করেছেন। একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের পাইলট পারভেজ সানজারির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মিলার প্রেমের সম্পর্কের পর গত ১২ মে তারা বিয়ে করেন।

জেএ/এসএইচএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।