খাস জমিনের গল্প ও চরিত্র দর্শক মুগ্ধ করবে

লিমন আহমেদ
লিমন আহমেদ লিমন আহমেদ , বিনোদন প্রধান
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৭
ছবি : মাহবুব আলম

বিপাশা কবির। শোবিজে পথ চলাটা শুরু করেছিলেন ২০০৯ সালে লাক্স তারকা হিসেবে। একটা সময় নিজেকে চলচ্চিত্রের আইটেম কন্যা হিসেবে জনপ্রিয় করেছেন। তবে বর্তমানে নায়িকা হিসেবেই প্রতিষ্ঠা পেতেই কাজ করে যাচ্ছেন। সরে এসেছেন আইটেম গান থেকে। আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) মুক্তি পেয়েছে নায়িকা বিপাশা কবিরের পঞ্চম চলচ্চিত্র। এখানে তিনি সাইমন সাদিকের বিপরীতে জুটি হয়েছেন প্রথমবারের মতো। নতুন ছবির মুক্তি ও প্রত্যাশা, সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে জাগো নিউজে কথা বলেছেন এই নায়িকা। লিখেছেন লিমন আহমেদ

‘খাস জমিন’ দিয়ে অনেকদিন পর নায়িকা হিসেবে পর্দায় হাজির হচ্ছেন। কেমন লাগছে?

কিছুটা চিন্তা তো থাকেই সব সময়। তারপরও আমি উচ্ছ্বসিত ‘খাস জমিন’ নিয়ে। কারণ ব্যতিক্রমী গল্প ও নির্মাণের ছবি ‘খাস জমিন’। অনেক পরিশ্রম করেছি এই ছবির জন্য। স্বাভাবিকভাবেই ছবিটি নিয়ে আমার অনেক প্রত্যাশা। তাই একটু নার্ভাস লাগছে দর্শক সাড়া কেমন পাব সেটি ভেবে। আবার আনন্দও হচ্ছে একটি ভালো ছবি নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হতে পারছি।

চলচ্চিত্রের সাম্প্রতিক হালচালের প্রেক্ষাপটে দর্শক ছবিটি কতটা গ্রহণ করবে বলে মনে করছেন?

আমি আশাবাদী। এখন দর্শক হলে যাচ্ছেন নিয়মিতই। তারা নানা মেজাজ ও রুচির ছবি দেখছেন। সেগুলো নিয়ে ভালো-মন্দ লিখছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সবাই কিন্তু সিনেমা দেখে এসে তাদের মতামত জানাচ্ছেন। সেটা নেতিবাচক হলেও ছবির মার্কেটিং করছেন তারা। অন্যদেরকে বলছেন সবাই যেন হলে গিয়ে ছবি দেখে। তাই আমার বিশ্বাস এই ছবিটিও আলোচনা পাবে, দর্শকের ভালোবাসা পাবে। কারণ দর্শক যা চান সেই চাহিদা অনুযায়ী ভালো গল্প, নির্মাণের মুন্সিয়ানা, ক্লাইমেক্স, প্রেম, শ্রুতিমধুর গান, বিনোদন-সবই আছে এই ছবিতে।

Bipasa

ছবির গল্প ও আপনার চরিত্রটি কেমন?

মানুষের জীবনের অধিকার আদায়ের গল্প আছে এখানে। আমি অভিনয় করেছি রুপা নামের একটি চরিত্রে। আমার অভিনীত চারটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেলেও সেগুলোর তুলনায় ‘খাস জমিন’র চরিত্রটি ব্যতিক্রম। আমি মনে করি হালের অনেক নায়িকারই সৌভাগ্য হয়নি এমন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করার। প্রথমে মেয়েটিকে যাত্রাপালার শিল্পী হিসেবে দেখা যায়। এরপর সে তার প্রেমিকের হাত ধরে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে নতুন জীবনে নতুন সংকটের মুখোমুখি হয়। এই সিনেমার প্রতিটি চরিত্র মন ছুঁয়ে যাবার মতো। শুটিংয়ের সময় আমাদের সবাইকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকেই প্রত্যেকের চরিত্রে অনেক আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করেছি। সারোয়ার ভাইয়ের নির্দেশনায় কাজও খুব ভালো হয়েছে।

সাইমনের বিপরীতে আপনার প্রথম ছবি ‘খাস জমিন’। তার জুটি হয়ে কাজ করতে গিয়ে অভিজ্ঞতাটা কেমন ছিল?

এক কথায় অসাধারণ। আমরা প্রথম জুটি হয়ে কাজ করলেও আমাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। কাজ করতে গিয়ে অনেক হেল্প পেয়েছি সাইমনের কাছ থেকে। তার সবচেয়ে বড় গুণ, একজন শিল্পী হিসেবে সে আরেকজন শিল্পীর প্রতি সহনশীল। কোনো রকম অভনিতা, অহংকার দেখিনি। কখনো কোনো ভুল হলে সেটা ধরিয়ে শোধরে নিতে সাহায্য করেন। বেশ মজা করেই তার সঙ্গে ছবিটিতে কাজ করেছি। পর্দায় নিজেদের যথাযোগ্যভাবেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। সাইমন-বিপাশার রসায়ন মন ভরাবে দর্শকের, এটুকু বলতে পারি।

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

চলচ্চিত্রই ধ্যান জ্ঞান। হাতে কিছু কাজ আছে। সেগুলো শেষ করছি। আর নতুন করে শিগগিরই আরও কিছু ছবির সঙ্গে যুক্ত হব। নিজেকে সিনেমার নির্ভরযোগ্য একজন নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

এলএ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।