বাবা-ছেলের জন্মদিন আজ

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৯ এএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৭

দর্শকপ্রিয় অভিনেতা আলী যাকের ও তার পুত্র ইরেশ যাকেরের জন্মদিন আজ। দুজনই জন্মেছেন ৬ নভেম্বর। ঘরোয়াভাবে জন্মদিনের কেক কেটে প্রথম প্রহরে রাত ১২টায় জন্মদিন উদযাপন করেন পিতা-পুত্র। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাদের পরিবারের লোকজন ও শোবিজের কাছের মানুষেরা।

বাবা-ছেলের এই জন্মদিনে আলী যাকেরের স্ত্রী সারা যাকের অর্থাৎ ইরেশ যাকেরের মা তার ফেসবুকে দুজনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থ ডে অন ৬ নভেম্বর, টু বার্থ ডে বয়েজ।’ এছাড়াও নানা অঙ্গনের বিভিন্ন প্রজন্মের তারকারাও শুভেচ্ছার স্রোতে ভাসাচ্ছেন তাদের।

নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকের ১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। মঞ্চে নূরলদীনের সারা জীবন, দেওয়ান গাজীর কিসসা, কপোনিকের ক্যাপ্টেনসহ অনেকগুলো নাটকে অভিনয় ও নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ছাড়া টিভির পর্দায় আজ রবিবার, বহুব্রীহিসহ বেশ কিছু নাটকে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।

তিনি বাংলাদেশের বৃহৎ বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিকের স্বত্বাধিকারী। নাট্যব্যক্তিত্ব সারা যাকের তার সহধর্মিণী। আলী যাকের ও সারা যাকের দম্পতির ছেলে ইরেশ যাকের ও মেয়ে শ্রিয়া সর্বজয়া অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত।

অন্যদিকে ইরেশ যাকের জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭৬ সালের ৬ নভেম্বর। বিভিন্ন উপলক্ষে টিভি নাটকে তার দেখা মেলে। তবে সম্প্রতি বেশ নিয়মিতই তাকে দেখা যায় টিভি পর্দায়।

বাবা-ছেলের একইদিনে জন্মদিন হওয়ার কারণে মজার অনুভূতি তুলে ধরে আলী যাকের বলেন, ‌‘চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী ইরেশের জন্ম হওয়ার কথা ছিলো ২২ অক্টোবর আর ওর মায়েরও (সারা যাকের) জন্মদিন ২২ অক্টোবর তাই সবাই চেয়েছিলো ও একদিন আগে জন্মগ্রহণ করুক। কিন্তু কাটায় কাটায় ১৫ দিন সবাইকে অপেক্ষায় রেখে ৬ নভেম্বর রাত আটটায় জন্ম হয় ইরেশের। আর আমার জন্ম একইদিন রাত ১০টায়। সে হিসেবে বাবার চেয়ে ছেলেকে বড় বলাই যেতে পারে।’

পরিবারের দু’জন সদস্যের বিশেষ দিনে সাধারণত বাড়িতে উৎসব বিরাজ করে, কথাগুলো বলতে বলতে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ইরেশ বলেন, ‘বড়বেলার জন্মদিনের চেয়ে ছোটবেলার জন্মদিন বেশি মজার ছিলো। আমি বাবার জন্মদিনটাকেই বেশি গুরুত্ব দেই।’

এনই/এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।