চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক যাচ্ছেন আলাউদ্দীন আলী


প্রকাশিত: ০৭:০৩ এএম, ২৮ জুন ২০১৫

দেশের কিংবদন্তী সুরকার-সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী ফুসফুসে সংক্রমণজনতি রোগে ভুগছেন। তার পরিবারের একাধিক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তারা আরো জানালেন, আলাউদ্দীন আলী বর্তমানে নিজ বাসায় থাকলেও দুই এক দিনের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ব্যংককে নিয়ে যাওয়া হবে। সে লক্ষ্যেই প্রস্তুতি চলছে।

আলাউদ্দীন আলী বাংলা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পারিবারিকভাবে আমাদের কফ-কাশির সমস্যা রয়েছে। এখন আমারও এটা দেখা দিয়েছে। সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) ও ল্যাব এইড হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। তবে আরও ভালো চিকিৎসার জন্য সবাই বলছে ব্যাংকক যাওয়ার জন্য। দেখি সেখানে গিয়ে কী হয়। আমার জন্য দোয়া করবেন।’

তার এই হঠাৎ অসুস্থতার খবর শুনে বিচলিত হয়ে পড়েন সঙ্গীতাঙ্গনের মানুষেরা। তবে আলাউদ্দীন আলী জানালেন, ‘চিন্তার কিছু নেই। আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। ব্যাংকক যাচ্ছি ভালো করে চেকআপ করিয়ে চিকিৎসার জন্য।’

প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালে সুরস্রষ্টা শহীদ আলতাফ মাহমুদের প্রধান সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন আলাউদ্দীন আলী। পরবর্তী সময়ে মনসুর আলী এবং আনোয়ার পারভেজের সহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি।

১৯৭২ সালে দেশাত্মবোধক গান ‘ও আমার বাংলা মা  তোর’ গানের মধ্যদিয়ে সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৭৫ সালে ‘সন্ধিক্ষণ’র মাধ্যমে  চলচ্চিত্র সংগীত পরিচালকের তালিকায় নিজের নাম লেখান। তিনি তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের গানে সুরারোপ করেছেন।

আলাউদ্দীন আলীর সুর-সংগীতে কিংবদন্তী শিল্পী রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, এন্ড্রু কিশোর থেকে শুরু করে এ প্রজন্মের প্রায় সব শিল্পীই গান করেছেন। লতা মুঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলে ছাড়াও উপমহাদেশের অনেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তার সুরারোপিত গানে মোহিত করেছেন শ্রোতাদের। রেডিও, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার গানের সুরকার আলাউদ্দীন আলী। কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ গুণীজন।

তার শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক শুক্তি সামর্থ্যের আরো সমৃদ্ধি কামনা করছি আমরা।


এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।