দীঘির জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হারিয়ে গেছে
নিজ বাসা থেকেই হারিয়ে গেছে চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়া দিঘির জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটি। দীঘির বাবা অভিনেতা সুব্রত গণমাধ্যমকে জানান, বাসার শেলফে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সাজানো ছিলো। সেখান থেকে একটির সন্ধাণ মিলছে না।
তবে কবে-কিভাবে পুরস্কারটি চুরি হয়েছে বলতে পারছেন না বাসার কেউই।
সুব্রত জানান, ‘কয়েক দিন আগে দীঘির পুরস্কারের শেলফটি গোছাতে গিয়ে দেখি তিনটি পুরস্কারের একটি নেই। পরে দেখলাম ‘এক টাকার বউ’ চলচ্চিত্রের জন্য যে পুরস্কারটি পেয়েছিল সেটি নেই। এরপর অনেক খোঁজা হয়েছে বাসায়, কিন্তু কোথাও নেই। কে সরিয়েছে, কিভাবে মিসিং হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছি না।’
এ প্রসঙ্গে দীঘি বলেন, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১২ এ ‘এক টাকার বউ’ চলচ্চিত্রের জন্য এই পুরস্কারটি পেয়েছিলাম। কবে চুরি হয়েছে বুঝতে পারিনি। শেলফে তো অনেক পুরস্কার, এর মধ্য থেকে একটি না থাকলে খুব একটা বোঝা যায় না। সেদিন শেলফ গোছাতে গিয়ে দেখা গেল তিনটির মধ্যে ‘এক টাকার বউ’ চলচ্চিত্রের পুরস্কারটি নেই।
প্রসঙ্গত, মাত্র তিন বছর বয়সে বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে শিশুশিল্পী হিসেবে আলোচনায় আসেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। তার সূত্র ধরেই চলচ্চিত্রে পা রেখে সবাইকে চমকে দেন সবাইকে। তার হাসির অভিনয় দর্শককে হাসিয়েছে, আবার তার কান্নার অভিনয় চোখের জলেও ভাসিয়েছে সবাইকে। দারুণ এই অভিনয়ে সুবাদেই ২০০৬ সালে ‘কাবুলিওয়ালা’, ২০১০ সালে ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ ও ২০১২ সালে ‘এক টাকার বউ’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে দীঘি।
এলএ