২০১৪ সালেই ভেঙে গিয়েছিল বাঁধনের সংসার

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫১ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ডিভোর্স হয়ে গেছে লাক্স তারকা আজমেরী হক বাঁধনের। কয়েক বছর ধরে বিষয়টি ছিলো গুজব-গুঞ্জন। তবে বাঁধনের স্বামী মাশরুর সিদ্দিকী সনেট গেল ২১ সেপ্টেম্বর জাগো নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জানান, ডিভোর্স চেয়ে আবেদন করেছিলেন বাঁধন।

২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানকিভাবেই বিচ্ছেদ হয়েছে তাদের। বাঁধন নিজেই ঢাকা সিটি করপোরেশনের সালিশী পরিষদে বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন।

আবেদনটি করেছিলেন ২০১৪ সালের আগস্টের ১০ তারিখ। বিচ্ছেদ চাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ানোর ৯০ দিন পার হয়ে গেলেও দুই পক্ষের কেউই আপস মীমাংসার জন্য হাজির হননি এবং কোনো আবেদন করেননি। স্বাভাবিক নিয়মেই বিচ্ছেদটি গৃহীত হয় ২৬ নভেম্বর। তবে ডিভোর্স সার্টিফিকেটে বিচ্ছেদের তারিখ হিসেবে ১০ আগস্টকেই গণ্য করা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁধনও ডিভোর্সের বিষয়টি জাগো নিউজের কাছে স্বীকার করে নেন। তবে তিনি বলেন, ‘ডিভোর্সের আবেদন আমি করিনি। সনেটই ডিভোর্স চেয়ে আমাকে নোটিশ পাঠিয়েছে।’

এর আগে বেশ কয়েকবার বাজারে ছড়িয়েছে বাঁধনের ঘর ভাঙনের খবর। তবে সাংবাদিকদের কাছে বরাবরই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। তিনি দাবি করেছেন, স্বামীর সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়েছে। সেটা যে কোনো মুহূর্তেই মিটে যাবে। কিন্তু দীর্ঘদিনের আড়াল ভেঙে বাঁধনের স্বামী নিজেই বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে চাইছিলেন। অবশেষে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিলেই দুজনই, তাদের ডিভোর্স হয়েছে।

Badhon Devorced

দীর্ঘ তিন বছর কেন বিচ্ছেদের ব্যাপারটি গোপন রেখেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বলেন, ‘আমি চাইনি আমার মেয়েটার জীবনের উপর কোনো রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়ুক। ও এখনো ছোট। এইসব বিচ্ছেদ, ঝগড়া ওর মনে প্রেশার দেবে। আর ওর বাবা মা ডিভোর্সি এটা প্রকাশ হলে একটা ভালো স্কুলে পড়তে ওর সমস্যা হবে। মেয়ের দিকটা ভেবেই আমি চুপ করে ছিলাম। কিন্তু যখন দেখছি মেয়ের বাবা ওকে আমার কাছ থেকে সরিয়ে নিতে চাইছে বাধ্য হয়েই তখন প্রকাশ্যে আসতে হলো।’

বলা চলে, বিয়ের পাঁচ মাস পরই বিচ্ছেদের শুরু হয় এই সংসারে। বাঁধন বলেন, ‘আমি আর মাশরুর ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের পাঁচ মাস পরেই আমি কনসিভ করি এবং এর পরপরই আমি আমার বাবার বাসায় চলে আসি। এরপর আমি আর মাশরুরের বাসায় যাইনি। আমাদের মধ্যে সাময়িক একটা মিটমাট হয়। তখন সে আমার সঙ্গে আমার বাবার বাড়িতেই থাকতো। ভেবেছিলাম সম্পর্কের উন্নতি হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেটি খারাপ দিকে যেতে থাকে। বাধ্য হয়েই একটা সময় আমরা বিচ্ছেদের দিকে এগুলাম।’

তারকাদের সংসার ভাঙনের নানা খবরের মাঝে বাঁধনের বিচ্ছেদের খবরটি নিশ্চিত হওয়ায় নতুন করে চলছে শোরগোল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী সনেটের সঙ্গে বাঁধন বিয়ের পিড়িঁতে বসেন। অনেকটা গোপনেই বিয়ের কাজটি সেড়ে ফেলেন বাঁধন। গুলশানে স্বামী সনেটের বাড়িতে উঠেন তিনি। বিয়ের এক বছর পর বাঁধনের কোল জুড়ে আসে কন্যা সন্তান সায়রা।

এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।