হে প্রিয়, আর হবে না দেখা!

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪০ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৭

বৃদ্ধ থেকে তরুণ প্রজন্ম। কেউ বাদ যায়নি। বাংলা সিনেমার সর্বকালের সেরা নায়করাজ রাজ্জাককে দেখতে হাজারো ভক্ত ভিড় জমিয়েছেন ইউনাইটেড হাসপাতালে। কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের গেট যেন ভেঙে যাবে মানুষের চাপে।

কথা হলো ১৪-১৫ বছর বয়সি তরুণ সাদিমের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বললেন, ‌‘খবর শুনেই আর ঘরে বসে থাকতে পারিনি। টিভিতে জীবনে প্রথম ছবি দেখেছি তার। ওই যে-‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’ গানটি ছিল যেই ছবিতে। খুব ভালো লাগত তার অভিনয়।’

Razzak

৫০ বছর বয়সি আনোয়ার সিদ্দিকী। থাকেন গুলশানেই। তার বক্তব্য, ‘ভালো লাগা, ভালোবাসা রাজ্জাকের কাছ থেকেই শিখেছি। আমি তার খুব ভক্ত। এমনকি আমার স্ত্রীও। তার চলে যাওয়ায় খুব কষ্ট পাইসি। বাকি জীবনে তাকে অনেক মিস করব। নায়করাজ রাজের মতোই থাকবেন পরপারেও, সেই প্রার্থনা করি।’

তরুণী আরিফা বললেন, ‘নায়ক রাজ্জাককে আমারও ভালো লাগে। আমার মায়েরও। তার মৃত্যুর খবর শুনেই মাকে ফোনে জানিয়েছি। উনি কষ্ট পাচ্ছেন। ভাবলাম শেষ বারের মতো দেখে যাই। মাকে বলতে পারব। আর তো দেখা হবে না কোনোদিন।’

ভক্তদের আরেক পাশেই ভিড় করছেন চলচ্চিত্রের নন্দিত সব তারকারা। সেখানে ছিলেন নায়ক আলমগীর। বললেন, ‘কারো বাবা মারা গেলে যেমন কিছু বলার ভাষা থাকে না। তেমন আমারও বলার ভাষা নাই। বাবা হারিয়েছি আমি।’

Symon

নতুন প্রজন্মের নায়ক সাইমন সাদিক বলেন, ‘এই খবরে মনে হয়েছে, মাথার ওপর আস্ত একটা গাছ পড়েছে। চলচ্ত্রেচির এই ক্রান্তিকালে আমরা অভিভাবক হারালাম। তিনি ছিলেন, পুরো চলচ্চিত্রের জন্য আশীর্বাদ। আমরা বড় একটা সম্পদ হারিয়েছি।’

নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল বলেন, ‘তার এই চলে যাওয়া চলচ্চিত্রে একটা চরম শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। আমরা গভীর শোকাহত।’

এমএ/এলএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।