জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সাংবাদিকদের ক্যাটাগরিও থাকা প্রয়োজন
চলচ্চিত্রে উৎসাহ দেয়ার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা আয়োজন রয়েছে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান, অনুদানের সিনেমা নির্মাণ উল্লেখযোগ্য। কিন্তু চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় তেমন কোনো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা নেই। অথচ নেপথ্যে থেকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে ইতিবাচক সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন চলচ্চিত্র সাংবাদিকরা।
তাই তাদেরও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুর রহমান। আজ সোমবার (৩১ জুলাই) দেশের স্বনামধন্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজের ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি এই কথা বলেন। এই বিষয়টি নিয়ে বাচসাস মনোযোগী হবে বলেও জানান তিনি।
প্রবীণ এই চলচ্চিত্র সাংবাদিক চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত সাংবাদিকদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতির বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরুর আগে থেকেও এই দেশে চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার শুরু। তখন এখানকার সাংবাদিকরা বিদেশি সিনেমার নিউজ লিখতেন। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের গোড়াপত্তনে এসব সাংবাদিকেরও দারুণ ভূমিকা ছিল। আর বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পুরস্কার শুরুর পর থেকেও চলচ্চিত্র সাংবাদিকরা এদেশের চলচ্চিত্রের বিকাশ ও প্রচারে ভূমিকা রাখছে। নানা সংকটময় মুহূর্তেও সাংবাদিকরা চলচ্চিত্র ও এই অঙ্গনের মানুষদের সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে। সেই ভাবনা থেকে চলচ্চিত্র সাংবাদিকরা অনেকটাই বঞ্চিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘চলচ্চিত্র একটি শিল্প। এর সঙ্গে জড়িতদের উৎসাহ দিতে সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে। সেখানে চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে মনে করি। যারা এই বিষয়টির দায়িত্বে আছেন, বিশেষ করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করব বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার জন্য। প্রতি বছর সেরা চলচ্চিত্র সাংবাদিক হিসেবে একটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া গেলে চলচ্চিত্র সাংবাদিকরা আরও দায়িত্ব নিয়ে মনোবলের সঙ্গে কাজ করবেন। এখানে পেশাদারিত্বও বাড়বে।’
তিনি বলেন, সরকার চাইলে অন্যকোনোভাবেও চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের প্রেরণা দিতে পারে। প্রত্যেকেই কাজের স্বীকৃতি চায় রাষ্ট্রের কাছে।
আজকের ফেসবুক লাইভে বাচসাসের সভাপতি আবদুর রহমান বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি সব চলচ্চিত্র সাংবাদিককে বাচসাসের ছায়াতলে আসার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনটির পঞ্চাশ বছর পূর্তির শুভেচ্ছা জানান। তিনি জানান, যারা আগ্রহী হবেন বাচসাসের সেইসব সদস্যদের নিয়ে বেশ কিছু কমিটি গঠন করা হবে সংগঠনটির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য।
অনেক চলচ্চিত্র সাংবাদিক রয়েছেন যারা বাচসাসের সদস্য হননি এখনও। তাদের সদস্য করার প্রক্রিয়াও শুরু হবে শিগগিরই।
এলএ