বহুদিন পর পপি!
সময়ের বৈরীতায় হারিয়ে যায় জীবনের জৌলুস। এ কথাই যেন প্রমাণ করছে এক সময় ঢাকাই চলচ্চিত্র কাঁপানো অভিনেত্রী সাদিয়া পারভীন পপির বর্তমান জীবন যাত্রা।
নেই সেই আগের ব্যস্ততা। ফুরিয়ে যাবার আগেই যেন মিলিয়ে গেলেন কোটি ভক্তের প্রিয় নায়িকা। শুধু পপিই নন, দেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান হাল চিত্র, মানহীন গল্প ও নির্মাণ, দর্শকদের হলবিমুখতা, সিনিয়ররদের প্রতি নতুনদের সম্মানের অভাব-ইত্যাদি কারণগুলোর জন্যই এখন আর খুব একটা কাজ করনে না মৌসুমী, শাবনূর, পূর্ণিমারাও।
তবে আশার কথা হলো বেশ কিছু ছবিতে কাজ তারা করে রেখছিলেন। যেগুলো নানা সমসস্যায় পড়ে আটেক ছিলো। সেইসব সমস্যার সমাধান ছবিগুলো মুক্তি পাচ্ছে। আর ভক্ত-দর্শকরাও সুযোগ পাচ্ছেন প্রিয় নায়িকাদের হলে গিয়ে দেখার।
তেমনি পপি অভিনীত একটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার। কিংবদন্তি চলচ্চিত্র ও নাট্যব্যক্তিত্ব আবদুল্লাহ আল মামুনের জীবনের শেষ পরিচালিত ছবি ‘দুই বিয়াইয়ের কীর্তি’ নিয়ে এবার প্রেক্ষাগৃহে আসছেন স্বনামধন্য নায়িকা পপি।
ছবিটি অনেক আগেই চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র লাভ করেছে। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছে দুই দিকপাল অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান ও আবদুল্লাহ আল মামুন। ছবিতে পপির নায়ক ফেরদৌস।
‘দুই বিয়াইয়ের কীর্তি’ এবং আবদুল্লাহ আল মামুন সম্পর্কে পপি বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য আবদুল্লাহ আল মামুনের মতো কিংবদন্তি ব্যক্তিত্বের নির্দেশে দুটি ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমি প্রথমে কাজ করি মামুন আংকেল পরিচালিত ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতি’ ছবিতে। এরপর ‘দুই বিয়াইয়ের কীর্তি’। আমার দুর্ভাগ্য মামুন আংকেল জীবিতাবস্থায় দুটি ছবিই দেখে যেতে পারেননি। মামুন আংকেল আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। তার জীবনের শেষ ছবিতে কাজ করতে পেরে আমার অভিনয় জীবন ধন্য।’
তিনি ছবি প্রসঙ্গে বলেন, ‘দুই বিয়াইয়ের কীর্তি একটা সুন্দর ছবি। মজার একটা গল্প আছে। এ ছবিতে আমার বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছে ফেরদৌস। ছবিতে আমাদের একটি ছেলে থাকে যে ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের ফার্স্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে তার ডায়বেটিকস হয়। এ ধরনের ঘটনাকেই কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে ছবিটি।ছবিটি যদি দর্শকদের যদি ভাল লাগে তাহলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে আর মামুন আংকেলের আত্মাও শান্তি পাবে।’
প্রসঙ্গত, পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন ২০০৭ সালে ‘দুই বেয়াইয়ের কীর্তি’ ছবিটির শুটিং শুরু করেছিলেন। কিন্তু ছবির শুটিং শেষ করার আগেই তিনি ২০০৮ সালে মারা যান। যার ফলে এক ধরনের সংকটে পরে গিয়েছিলো ছবিটি। এরপর ছবিটির বাকী কাজ শেষ হওয়া নিয়ে অনেক সমস্যাও হয়েছিলো।
এলএ/পিআর