তালাকের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে অপুর ক্ষোভ
শাকিবকে তালাক দিচ্ছেন অপু বিশ্বাস! এমন সংবাদ আজ মঙ্গলবার প্রকাশ হয়েছে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে। এই সংবাদ ভিত্তিহীন এবং মানহানিকর দাবি করে অনলাইন পোর্টালটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান অপু বিশ্বাস।
সংবাদটি প্রকাশের পর থেকে অপুর কাছের মানুষরা তাকে ফোন দিয়ে বিষয়টির সত্যতা জানতে চান। অনেক গণমাধ্যম থেকেও এ বিষয়ে জানতে কল দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন এই অভিনেত্রী। তার পরিবারের সদস্যরাও নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন আত্মীয়-স্বজনদের কাছে। এ মিথ্যা খবর তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
জাগো নিউজকে অপু বিশ্বাস জানান, ‘যারা এ ধরনের বানোয়াট খবর কারও মন্তব্য ও সত্যতা ছাড়া প্রকাশ করতে পারে গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে তাদের পেশাদারিত্বের অভাব রয়েছে। গুজবটি আমার এবং শাকিবের, দুজনের জন্যই মারাত্মকভাবে অপমানজনক। আমি গণমাধ্যমটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কোনো আশানুরুপ মন্তব্য পাইনি। বাধ্য হয়েই আমি আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পত্রিকাটিতে বলা হয়েছে, গত সোমবার রাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অপু বিশ্বাসের পারফর্মেন্সের সময় শাকিব খানের চলে যাওয়াটাকে অনেকেই নেতিবাচকভাবে দেখছেন। এ নিয়ে নানারকম গুঞ্জন শুরু হয়েছে মিডিয়াপাড়ায়।
স্বামীর কাছে অপমানিত হয়ে বেশ রেগে আছেন অপু। এমনকি শাকিবকে তালাক দিয়ে আবারও নিজের অবস্থান একাই চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত করবেন বলেও হুমকি দিচ্ছেন।
সেখানে অপুর মন্তব্য ছাপা হয়েছে, ‘এভাবে সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার কোনো মানে হয় না। যে আমার স্বামী সেই যদি আমাকে সবার সামনে সম্মান দিতে না পারে তাহলে তার সঙ্গে কীভাবে চলা যায়। তবে অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্তই শাকিব উপস্থিত ছিল। কিন্তু আমার প্রতি অবহেলা দেখাতেই সে কিছু সময়ের জন্য বাইরে চলে গিয়েছিল।’
তবে এই ধরনের কোনো মন্তব্য ওই অনলাইন গণমাধ্যমটিতে দেননি বলে দাবি করেছেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি, কোনো কথাও বলেনি। সম্পূর্ণ মনগড়া একটি সংবাদ এটি, যা আমাকে চরমভাবে অপমান করেছে। আমার সংসার নিয়ে নেতিবাচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।’
শেষ পর্যন্ত জানা গেছে, গণমাধ্যমটির সঙ্গে সমঝোতার আলোচনা হয়েছে অপু বিশ্বাসের। দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমে ভুল তথ্যের সংবাদটি মুছে ফেলা হয়েছে।
এনই/এলএ