শখের সঙ্গে ডিভোর্সের প্রক্রিয়া চলছে : নিলয়

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৬ এএম, ১৭ জুলাই ২০১৭

শোবিজের পরিচিত জুটি নিলয়-শখ। এক অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি। তাদের বিয়ে হয় পারিবারিকভাবেই। ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে ভক্তদের ভালোবাসা নিয়ে শুরু করেছিলেন দাম্পত্য।

কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই শোনা যায় তাদের সংসারে ভাঙনের গল্প-গুজব। পরবর্তীতে নিলয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংসার ভাঙনের খবর সত্যি নয়। এই তথ্যে  জাগো নিউজে ‌‘সংসার ভাঙনের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন নিলয়’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।

সেই খবরে বলা হয়েছিল, ‘বিয়ের আগে নিলয়ের পরিবারের কাছ থেকে শখ যেমনটা সমর্থন আশা করেছিলেন এখন তেমনটা পাচ্ছেন না। সে কারণে শখ কিছুটা মর্মাহত! যদিও তিনি নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন। কিন্তু নিলয়ের মায়ের সঙ্গে কোনো কিছুতে বনিবনা হচ্ছে না শখের। পান থেকে চুন খসলেই নাকি শখকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছেন নিলয়ের মা। এমনকি কয়েকবার শখকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করারও চেষ্টা করেছেন তার শাশুড়ি! এসব কিছুর পরেও নির্বিকার নিলয়। মায়ের মুখের ওপর কোনো কিছুই বলতে পারছেন না। তবে নিলয়ের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই শখের।’

তখন নিলয় শখের সঙ্গে দূরত্বের খবরকে ভুয়া বললেও আজ সোমবার ১৭ জুলাই স্বীকার করে নিলেন ভেঙে যাচ্ছে তাদের দাম্পত্য জীবন। নিলয় জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এখনও ডিভোর্স হয়নি, প্রক্রিয়া চলছে। নানা কারণেই আমরা দীর্ঘদিন ধরে আলাদা থাকছি।’

তিনি বলেন, নিলয়ের উত্তরার বাসা ছেড়ে শখ পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ার বাসায় চলে গেছেন। এ বিষয়ে শখের সঙ্গে যোগাযোগ করে হলে তিনি বলেন, ‘দুদিন আগে মালয়েশিয়া থেকে শুটিং করে দেশে ফিরেছি। এসব ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। সবাই জানে আমি নিলয়ের সঙ্গে থাকি না কয়েক মাস। এর বেশি কিছু জানতে চাইবেন না, প্লিজ!’

এ বছর বিবাহবার্ষিকীতে ওমরাহ হজে গিয়েছিলেন নিলয়-শখ। কাছের মানুষরা আশা করেছিলেন হয়তো নিজেদের মধ্যে সব দূরত্ব গুছিয়ে নেবেন দুই তারকা। কিন্তু সেই আশায়  গুড়েবালি দিয়ে চূড়ান্ত বিচ্ছেদের দিকেই যাচ্ছে নিলয়-শখের দাম্পত্য জীবন।

বর্তমানে নিলয়-শখ ঈদ নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত।

এনই/এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।