আমরা এখনো মৌসুমী আপার অপেক্ষায় : জায়েদ খান


প্রকাশিত: ০৮:৪৬ এএম, ০৯ জুলাই ২০১৭

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সিমিতির নির্বাচনে সানি-অমিত প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করেছিলেন প্রিয়দর্শিনী নায়িকা মৌসুমী। নির্বাচনের ফলাফলে প্যানেলটি খুব একটা সাফল্য না পেলেও দ্বিতীয় সর্বাধিক ভোট পেয়ে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী।

নতুন কমিটি দায়িত্ব নেয়ার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কমিটির কোনো কার্যক্রম বা সভা-আলোচনায় দেখা যায়নি মৌসুমীকে। এ নিয়ে সমিতির নতুন সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারন সম্পাদক জায়েদ খানকে প্রশ্ন করা হলে তারা গণমাধ্যমে বলেছেন, ‌‘আমরা মৌসুমী আপার অপেক্ষায়। তিনি এখনো শপথ নেননি ও কোনো সভায় আসেননি। আমরা তাকে তার নিরবতার বিষয়ে অবহিত করে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি শিগগিরই তিনি শপথ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন।’

কিন্তু গেল ৩ জুলাই হঠাৎ করেই শিল্পী সমিতির নতুন কমিটি থেকে পদত্যাগের আবেদন করে একটি চিঠি পাঠান মৌসুমী। তার পদত্যাগের খবরে বেশ সাড়া পড়ে যায়। সেখানে তিনি ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেন। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলেননি শিল্পী সমিতির কোনো নেতা।

তবে শেষ পর্যন্ত মৌসুমী প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য জানালেন শিল্পী সমিতির নতুন সাধারন সম্পাদক জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো চলচ্চিত্রের নন্দিত মানুষ, প্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমীর অপেক্ষায়। তার মতো অভিজ্ঞ, দক্ষ এবং গুণী অভিনেত্রীকে শিল্পী সমিতির পথচলায় খুব বেশি প্রয়োজন।’

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান সভাপতি মিশা সওদাগর।

ফেরদৌসের শপথ নেয়া শেষে এক আলাপচারিতায় জায়েদ খান এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আজ (শনিবার) ফেরদৌস ভাই আমাদের সঙ্গে শপথ নিলেন। খুবই ভালো লাগছে। শুটিংয়ের ব্যস্ততার জন্য তিনি এতদিন শপথ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারছিলেন না। অবশেষে তাকে আমরা পেয়েছি। ফেরদৌস ভাইয়ের মতো শিক্ষিত এবং নন্দিত একজন অভিনেতার সঙ্গ সমিতিকে সমৃদ্ধ করবে।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু মৌসুমী আপার সিদ্ধান্তে আমরা কষ্ট পেয়েছি। ক’দিন আগে মৌসুমী আপা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে মিশা ভাই ও আমি এ পদত্যাগপত্র এখনো গ্রহণ করিনি। তার সিদ্ধান্ত তো বদলাতেও পারে। আমাদের চাওয়া তার মতো একজন গুণী শিল্পীকে নিয়েও কাজ করা। কেননা, আমরা চাই সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে। চলচ্চিত্র শিল্পে খারাপ সময় যাচ্ছে। শিল্পী সমিতিতে নির্বাচিত হবার পর মিশা ভাই, রিয়াজ ভাই, আমিসহ সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি মিলেমিশে কাজ করার। অঞ্জনা আপা, রোজিনা আপা, ববিতা আপা, পূর্ণিমা ও পপি আপা, নায়ক ফারুক, আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবদের মতো সিনিয়র শিল্পীরা সবাই যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা সত্যি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার। আমরা মৌসুমী আপাকেও চাই।’

নির্বাচন একটা আনুষ্ঠানিকতা। যারা হেরে গেছেন তারা এই শিল্পের বাইরে চলে যাবেন ব্যাপারটি এমন নয়। সবাই মিলেমিলে শিল্পী সমিতিকে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কার্যকর রাখতে হবে বলে দাবি করেন জায়েদ।

এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।