হ্যাপিকে ধর্ষণের মামলায় রেহাই পেলেন রুবেল
জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার মোহাম্মদ রুবেল হোসেনের অব্যাহতি চেয়ে এক তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন। সেই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির নারাজি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আর বিনাকসুর অব্যাহতি পেলেন রুবেল।
বুধবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে হ্যাপির এই নারাজি আবেদনের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে বিচারক তানজিনা ইসমাইল পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন। এরপর বেলা ২টার দিকে আদালত রুবেলকে অব্যাহতি দেয়ার ঘোষণা দেন।
আসামি রুবেলের পক্ষে শুনানি করেন, ঢাকা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। এবং হ্যাপির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মনসুর রিপন ও অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার।
এর আগে হ্যাপির পক্ষে নারাজি দাখিল করেছিলেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার।
গত ১৯ মার্চ এই রুবেলের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক হালিমা খাতুন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিকটিম হ্যাপিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হলে ৩ সদস্য বিশিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ড জানায় সম্প্রতি হ্যাপির শরীরে কোথাও জোরপূর্বক ধর্ষণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
হ্যাপির (বাদি) দাবি অনুযায়ী রুবেলের পরিহিত জার্সি, পাপোষ এবং নাইটি পরীক্ষা করে তাতে রুবেলের কোন বীর্য পাওয়া যায়নি মর্মে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হ্যাপি একজন প্রাপ্তবয়স্ক, মিডিয়াতে কাজ করা সচেতন ও আধুনিক একজন ব্যক্তি। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্বেও বিবাহ নামক সম্পর্ক ছাড়া যদি তিনি রুবেলের সঙ্গে মেলামেশা করে থাকেন তবে তিনি সেটা তার (বাদি) সম্মতিতেই হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু বাদির অভিযোগ মতে সেটা ধর্ষণের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না।
তাছাড়া হ্যাপি তার বক্তব্যের সমর্থনে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। হ্যাপি রুবেলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয় বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রতিবেদনের শেষদিকে বলা হয়েছে, সার্বিক তদন্ত, সাক্ষ্য, ডাক্তারি রিপোর্ট, রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায় রুবেলের বিরুদ্ধে হ্যাপির অভিযোগ সঠিক নয়। এজন্য তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে আসামি রুবেলের অব্যাহতি প্রার্থনা করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে রুবেল এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন।
এলএ