কঠিন আন্দোলনে যাচ্ছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো


প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, ১৬ জুন ২০১৭

নিয়ম-নীতি না মেনে যৌথ প্রযোজনার নামে ভিনদেশি চলচ্চিত্র মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এই দাবিকে কেন্দ্র করে কঠিন আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক ও শিল্পী সমিতিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৪টি সংগঠন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনায় অবস্থিত পুলিশ কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির ইফতার শেষে এই কথা জানান সমিতিটির সভাপতি মিশা সওদাগর। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্পীদের সমিতির সহসভাপতি রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, কার্যকরী সদস্য সাইমন সাদিক, পপি ও ইমন।

মিশা বলেন, `যৌথ প্রযোজনায় নিয়ম মানতে অনেক অনুরোধ করা হয়েছে। কিছুতেই কোনো কাজ হচ্ছে না। বরং আমাদের অনুরোধের মনোভাবকে দুর্বলতা ভেবে কুচক্রী মহলের মানুষেরা লাগামছাড়া কথা বলে যাচ্ছেন, কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। অত্যন্ত বেদনার বিষয় এই যে, এইসব দেশদ্রোহী, ভিনদেশি সিনেমার দালালদের দোসর হয়েছেন আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কিছু মানুষ। এটা শুধু বেদনারই নয়, লজ্জারও।`

তিনি আরও বলেন, `যেহেতু দেশের সিনেমা ধ্বংসকারীরা অর্থ ছিটিয়ে সবকিছু প্রভাবিত করছে তাই আমরা আর চুপ করে থাকবো না। আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আমরা কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে রক্ষার চেষ্টা চালাবো। সেই লক্ষে আগামী রোববার (১৮ জুন) সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এফডিসিতে অবস্থান ধর্মঘটের কথা ভাবছি। আগামীকাল শনিবার (১৭ জুন)। চলচ্চিত্রের সকল সংগঠনের নেতারা সভায় বসবো। সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।`

সহসভাপতি রিয়াজ বলেন, `আমরা আর ঘরে বসে থাকবো না। ইন্ডাস্ট্রির এই বেহাল দশা কাটাতে প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবো। ইন্ডাস্ট্রির সকল সম্মানীত সিনিয়ররা আমাদের সাথে রয়েছেন। এই সিনেমা শিল্প ধংসের ষড়যন্ত্রে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকরাও জড়িয়ে গেছেন। তাই এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের বিকল্প নেই। আমরা রবিবার তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করবো।`

শিল্পীদের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, `বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এফডিসি ও চলচ্চিত্র শিল্পকে কেউ ধংস করতে পারবে না। সকল ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দেয়া হবে কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে। আমার দেশের শিল্পী ও কলাকুশলীদের উপোস রেখে অন্যদের পেট ভরাতে এই ইন্ডাস্ট্রি ও এ দেশের সিনেমা হল ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।`

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী রোববার অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচিতে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত যৌথ প্রযোজনার ছবি `বস ২` ও `নবাব`র মুক্তির ছাড়পত্র না দেয়ার দাবি থাকবে। এই দুটি ছবি যৌথ প্রযোজনার নীতি মানেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। সেইসঙ্গে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নানা অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর পদত্যাগের দাবিও থাকতে পারে।

এলএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।